জয়পুরহাটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে মানববন্ধন

মানববন্ধন সমাবেশ ও প্রতিকী ক্লাস অবস্থান কর্মসূচি
মানববন্ধন সমাবেশ ও প্রতিকী ক্লাস অবস্থান কর্মসূচি   © ফাইল ছবি

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অবিলম্বে খুলে দেওয়ার দাবিতে জয়পুরহাটে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন সমাবেশ ও প্রতিকী ক্লাস অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।

মঙ্গলবার (১ জুন) বেলা ১১টায় শহরের পাঁচুরমোড়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিকী ক্লাস ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এতে তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে শিক্ষক, অভিভাবক, সাংবাদিক ও ছাত্রনেতারাও অংশ নেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেওয়ার দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচিতে জয়পুরহাট সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত রহমান সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন একই কলেজের শিক্ষার্থী সোহান কাদির।

বক্তব্য রাখেন জয়পুরহাট সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রিফাত আমিন রিয়ন,একই কলেজের শিক্ষার্থী রেহেনা পারভিন খুশি, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী রাশেদ ইসলাম,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম, শিক্ষার্থী নাজমুল সাইদার, নাঈম প্রমূখ।

শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আমদই ইউনাইটেড ডিগ্রী কলেজে শিক্ষক কৃষিবিদ ওবায়দুল্লাহ মুসা, পাঁচুরচক স্কুলের অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইউনুছার রহমান, আমদই কলেজের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির শিক্ষক উৎপল দেবনাথ।

কৃষিবিদ ওবায়দুল্লাহ মুসা প্রতীকী ক্লাস নিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। তিনি প্রতীকী ক্লাসে ‘সমসাময়িক বাংলাদেশের পরিস্থিতি ও করোনা’ বিষয়ে ক্লাস নেন। তিনি বলেন, গণপরিবহনসহ সবকিছু খুলে দিয়েছে সরকার। সেই পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সচেতন। তারা যথাসম্ভব স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে যে ক্লাসে অংশ নিতে পারেন, সেটা আজকে শিক্ষার্থীরা প্রতীকীভাবে দেখিয়েছেন। আশা করি, এ বিষয়ে সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। এভাবে আর যেন শিক্ষার্থীদের রাস্তায় এসে দাঁড়াতে না হয়। তারা কালক্ষেপণ না করে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেবে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ১৪ মাস ধরে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ। লকডাউনের মধ্যেও শপিং মল, মার্কেট, অফিসসহ গণপরিবহন খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যজনক হচ্ছে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রেখেছে। অথচ শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সচেতন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে সরকার বেকায়দায় পড়তে পারে। এ কারণে করোনার দোহাই দিয়ে তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। এই দীর্ঘ ১৪ মাসে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে গেছেন। অনেক বাল্যবিবাহ হয়ে গেছে দেশে। মানসিক ও অর্থনৈতিক চিন্তায় অনেক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ছাড়া শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের দ্রুত টিকা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে হবে সরকারকে। শিক্ষার্থীরা যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাসে উপস্থিত হয়ে ক্লাস করতে পারেন, তার দৃষ্টান্ত আজকে তারা এই কর্মসূচির মাধ্যমে রেখেছেন। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন।


সর্বশেষ সংবাদ