প্রাথমিকে ঝরে পড়ছে ১৮.৮ শতাংশ শিক্ষার্থী
বর্তমানে দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার হার ১৮ দশমিক ৮ শতাংশ এবং বিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়ার হার প্রায় ২ শতাংশ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নাটোরের পাঁচটি উপজেলায় মোট সাড়ে তিনশ শিখন কেন্দ্রে সাড়ে ১০ হাজার শিক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে।
মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। এ পরিকল্পনার আওতায় সারাদেশে প্রাথমিক পর্যায়ে ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী ১০ লাখ বিদ্যালয় বহির্ভূত শিক্ষার্থীদের আগামী তিন বছরে শিখন কেন্দ্রে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদান করে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার উপযোগী করে তৈরি করা হবে।
কর্মশালায় বলা হয়, নাটোরের পাঁচটি উপজেলাসহ দেশের ৩৪৫টি উপজেলা এবং সকল সিটি কর্পোরেশনসহ ১৫টি শহর এলাকার নির্বাচিত উপজেলা, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় শিখন কেন্দ্র কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে।
প্রতিদিন এসব শিখন কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের তিন ঘন্টা করে পাঠদান করা হবে। প্রতিটি শিখন কেন্দ্রে ৩০ জন করে শিক্ষার্থীর সকলেই সিটি কর্পোরেশন এলাকাতে মাসে ৩০০ টাকা করে এবং গ্রাম এলাকাতে মাসে ১২০ টাকা করে উপবৃত্তি পাবে।
কর্মশালায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাদিম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান খান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শরিফুল ইসলাম রমজান প্রমুখ।