বিতরণের আগেই বাতিল হলো নতুন বছরের ৬০ হাজার বই
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২০, ১২:০১ PM , আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২০, ১২:০১ PM
মানসম্মত না হওয়ায় আগামী শিক্ষাবর্ষে বিতরণের জন্য প্রস্তুত করা প্রাথমিক স্তরের ৬০ হাজার বই বাতিল করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে পাঠানো বই যাচাই-বাছাই করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সাথে যথাসময়ে বই বিতরণে মুদ্রণের অগ্রগতি ও গুণগত মান বজায় রাখতে মনিটরিং জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাপতি মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে আগামী শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বিতরণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালালোচনা সংক্রান্ত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বলা হয়, আগামী শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তকের যথাযথ মান বজায় রেখে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ এবং যথাসময়ে দেশের সব শিক্ষার্থীর হাতে পৌঁছানো নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ পর্যালোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) জানান, ২০২১ শিক্ষাবর্ষে ১০ কোটি ২৫ লক্ষাধিক পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের জন্য ৩৯টি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৬০ শতাংশ মুদ্রণ কাজ শেষ হয়েছে এবং ইতোমধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ বই মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।
সভায় প্রতিমন্ত্রী জানান, সরবরাহ করা বইয়ের মধ্যে কিছু সংখ্যক বই মানসম্মত নয় মর্মে মাঠ পর্যায় থেকে জানা যায়। যেমন- কোনো বইয়ের কাগজের মান ভালো নয়, আবার কোনো কোনো বইয়ের মুদ্রণ সঠিকভাবে হয়নি। এ বিষয়ে পাঠ্যপুস্তকের মান যাচাইয়ের জন্য নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ব্যুরো ভেরিটাস বাংলাদেশ প্রাইভেট লি. এর প্রতিনিধির কাছে বিস্তারিত জানতে চান।
ব্যুরো ভেরিটাস প্রতিনিধি মো. আফজাল কবির ভুইয়া জানান, মুদ্রণ করা প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে একজন করে পরিদর্শক নিয়োজিত আছেন। তারা সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থেকে মুদ্রণ কোয়ালিটি নিশ্চিত করেন।
সভায় সচিব বলেন, মানসম্মত বইয়ের জন্য বাস্তবায়নকালীন তদারকি জোরদার করা প্রয়োজন। সেজন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং এনসিটিবির সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে ব্যুরো ভেরিটাসের পরিদর্শকদের কাজের তদারকি করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর জানুয়ারির ১ তারিখে বই উৎসব পালন করা হয়। সে লক্ষ্যে এবছরও যেন সময়মতো সারাদেশে নতুন বই পৌঁছে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ইতোমধ্যে ঢাকার বিভাগীয় উপপরিচালকের মাধ্যমে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে একজন করে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসব কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে মুদ্রণ কার্যক্রম তদারকি করছেন এবং ইতোমধ্যে ৬০ হাজার বই বাতিল করা হয়েছে।
বই মুদ্রণকালীন মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করে বইয়ের গুণগত মান বজায় রেখে মুদ্রণ কার্যক্রম সম্পাদন করতে এনসিটিবি ও ডিপিই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানায় সভা সূত্র।