স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে অর্থ-আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত পংকজ কুমার দাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের রুস্তমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
এ ঘটনায় প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. মজনু মিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
গত ১৮ অক্টোবর দেয়া ওই অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রুস্তমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্লিপ প্রোগ্রাম ও শিক্ষা উপকরণ বাবদ ৮৪ হাজার ৫৭৪ টাকা এবং বিদ্যালয় মেরামত বাবদ এক লাখ ২৩ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে।
স্লিপ প্রোগ্রাম ও উপকরণ বাবদ কিছু টাকা খরচ করলেও বিদ্যালয় রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ কোনো টাকা খরচ না করেই সভাপতির অগোচরে স্বাক্ষর জাল করে সোনালী ব্যাংক হরিণবেড় শাখা থেকে পৃথক দুটি চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন প্রধান শিক্ষক পংকজ কুমার দাস।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি মজনু মিয়া বলেন, প্রধান শিক্ষক কাজ না করে এবং আমার স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংক থেকে দুবার টাকা উত্তোলন করেছেন। ১ অক্টোবর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির ২৬ সদস্য আলোচনা করে একটি রেজুলেশন করি। এতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সভাপতির স্বাক্ষর জাল ও উত্তোলনকৃত টাকা আত্মসাতের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।
তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালে বিদ্যালয়ের বরাদ্দকৃত টাকা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে খরচ করেন প্রধান শিক্ষক। এই খরচের হিসাব চাইতে গেলে তিনি সঠিক হিসাব দিতে পারেননি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির কাছে। এ সময় ৩০ হাজার টাকা গরমিলের প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে ৩০ হাজার টাকা ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও তিনি আর দেননি।
অভিযোগের বিষয়ে পংকজ কুমার দাস জানান, আমি বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর থেকে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। বর্তমানে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইকবাল মিয়া জানান, বিদ্যালয়টির সভাপতির লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রবিউল আলমকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হেয়েছে। তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা আশরাফী জানান, এ ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি।