প্রাথমিকেও অ্যাসাইনমেন্টে মূল্যায়ন, আসছে একমাসের সিলেবাস
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২০, ১১:৩৬ AM , আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২০, ১১:৩৬ AM
চলমান করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে দেশের প্রাথমিক পর্যায়ের প্রায় দেড় কোটি শিক্ষার্থীর মূল্যায়নের জন্য কাজ শুরু করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। চলতি সপ্তাহ এ বিষয়ে একটি বৈঠকও ডাকা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে কীভাবে করা হবে সে বিষয়ে বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য বিশেষজ্ঞদের মত নেবেন সংশ্লিষ্টরা। তবে মাধ্যমিকের মতো একমাসের মূল্যায়ন পদ্ধন্তি আসছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে মাধ্যমিক পর্যায়ে বার্ষিক পরীক্ষা বাতিল করে এক মাসের সংক্ষিপ্ত মূল্যায়নের ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ১ নভেম্বর থেকে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এভাবে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মাধ্যমিকের মতো এ ধরনের মূল্যায়ন করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে সব নির্ভর করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ওপর।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠক ডাকা হয়েছে চলতি সপ্তাহে। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) তৈরি করা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের বিষয়ে বৈঠকে বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্বান্ত হবে।’
নেপ সূত্র জানায়, চলতি বছর প্রাথমিকে বার্ষিক পরীক্ষার পরিবর্তে নিজ নিজ স্কুলে মূল্যায়ন করার জন্য ৩০ কর্মদিবসের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে। তবে তা নির্ভর করছে স্কুল খোলার ওপর। করোনার কারণে সর্বশেষ ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শীতের আগমনে দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা থাকায় শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা দিতে চলতি শিক্ষাবর্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা নেই। সেক্ষেত্রে অটোপাস ঘোষণা করা হতে পারে।
এ বিষয়ে নেপ মহাপরিচালক মো. শাহ আলম বলেন, ‘৩০ কর্মদিবসের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করেছি আমরা। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে। ১৫ নভেম্বর স্কুল খুললে সেদিনই এ কার্যক্রম শুরু হবে। বার্ষিক পরীক্ষার পরিবর্তে ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে। সংসদ টিভি ও রেডিও ছাড়াও স্কুল থেকে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। এ বিষয়ে পরিকল্পনা তৈরি করে ডিপিইতে জমা দেওয়া হয়েছে।’ তবে স্কুল না খুললে এ বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, নেপের পরিকল্পনায় শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের পদ্ধতি নিয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে। এগুলো প্রতিটি স্কুলে পাঠানোর প্রস্তুতিও শেষ পর্যায়ে। তবে তা নির্ভর করছে স্কুল খোলার ওপর। স্কুল না খুললে তখন কীভাবে মূল্যায়ন হবে সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা মতামত দেবেন মন্ত্রণালয়কে। অবশ্য প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের বয়স কম হওয়ায় এভাবে মূল্যায়ন করা যৌক্তিক কিনা তাও রয়েছে আলোচনায়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম এ বিষয়ে বলেন, সব প্রশ্নের উত্তর চলতি সপ্তাহে বৈঠকে পাওয়া। সে পর্যন্ত সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে বলে জানান তিনি। তবে স্কুল খোলা না হলে অটোপাস ঘোষণা হতে পারে বলে ডিপিই সূত্রে জানা গেছে।