চার বছর বয়সে প্রাক-প্রাথমিকে ভর্তি হতে পারবে শিশুরা

প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার অন্তবর্তীকালীন প্যাকেজ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে এনসিটিবি
প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার অন্তবর্তীকালীন প্যাকেজ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে এনসিটিবি  © সংগৃহীত

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের জন্য প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার অন্তবর্তীকালীন প্যাকেজ অনুমোদন করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। প্যাকেজটি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমাও দিয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের কাছে বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) প্যাকেজটি হস্তান্তর করেন এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা।

আগামী বছর দেশের উপজেলাভিত্তিক দুই হাজার ৬৩৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক চালু করা হবে। দুই বছর মেয়াদী এই  স্তরে চার বছর বা তার অধিক বয়সের শিশুরা ভর্তি হতে পারবে। এনসিটিবি চেয়ারম্যান এ বিষয়ে বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতিতে চার বছরের বেশি বয়সের শিশুর শিখন শুরু হয়। বেসরকারি কেজি স্কুলে যায় তারা। প্যাকেজটি চালুর পর সরকারি স্কুলেও তারা শিখতে পারবে। কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন হলে শিক্ষানীতির উল্লেখযোগ্য উদ্দেশ্য পূরণ হবে বলে জানান তিনি।

নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, শিশুদের জন্য আলাদা বই নেই। শুধু আঁকিবুকির খাতা রয়েছে। আর শিক্ষকদের জন্য শিক্ষক সহায়িকা রয়েছে। তা দেখে শিক্ষকরা পড়াবেন। আগামী বছর দুই হাজার ৬৩৩টি বিদ্যালয়ে ও ২০২২ সালে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক চালু করতে সরকার অনুমোদন দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

 সূত্র জানায়, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের গভীর সংযোগ রয়েছে। প্রাক-প্রাথমিক শিশুদের শারীরিক, মানসিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, ভাষাগত ও সামাজিক বিকাশে অবদান রাখে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ এ প্রাক-প্রাথমিক চালুর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযািয়ী প্রাক-প্রাথমিক স্তর দুই বছরে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। তার আলোকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার বছরের বেশি বয়সী শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালুর বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছেন।


সর্বশেষ সংবাদ