মানবেতর জীবনযাপন করছেন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ এর উদ্যোগে রাজধানীতে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ আয়োজন থেকে মানবিক দিক বিবেচনা করে শিগগির বাদপড়া সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সেখানে কর্মরত শিক্ষকদের সরকারিকরণের ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে।
জানা যায়, আজ বুধবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় একটি র্যালি বের করা হয়। পরে কদম ফোয়ারা হয়ে পল্টন মোড় ঘুরে আবার প্রেসক্লাবের সামনে এসে র্যালিটি শেষ হয়।
র্যালিতে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান সমন্বয়কারী প্রাথমিক শিক্ষক নেতা মোঃ সামসুল আলম, সংগঠনের উপদেষ্টা ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ড. এ. এফ. এম. মঞ্জুরুল কাদির, উপদেষ্টা আতাউর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষক নেতা আব্দুর রহমান বাচ্চু, এস. এম. আব্দুল গফুর, শেখ আব্দুস সালাম, মীর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, প্রীতি তালুকদার, সংগঠনের সদস্য সচিব মোঃ শাহিদুল ইসলাম সাইদুর, আলামিন সরকার, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, শাহাদৎ হোসেন সাগাই, মৌলভী ওয়াহিদুর রহমান, মাওলানা ইউসুফ, অনন্ত চাকমা, দেলোয়ার হোসেন, মোঃ হানিফ, দলিলুর রহমান, বুলবুল আহমেদ, জিয়াউল হক, বেলাল হোসেন, সুমন, মোশারফ, এরশাদুল হক, জ্যোতি ত্রিপুরা, একরামুল প্রমুখ।
পরে সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় শিক্ষক নেতারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ সালে এক শিক্ষক মহাসমাবেশের মাধ্যমে ২ হাজার ৬১৯৩টি বিদ্যালয় সরকারিকরণের ঘোষণা দেওয়ার পর বর্তমানে দেশে চলমান বাদ পড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আমরা বিশ্বাস করি, মানবিক দিক বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শিগগির বাদপড়া সব বিদ্যালয় ও সেখানে কর্মরত শিক্ষকদের সরকারিকরণের ঘোষণা জাতীয় শিক্ষক সমাজের হৃদয়ে চির অম্লান চির অক্ষয় হয়ে থাকবেন।
তারা আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ দুরন্ত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। করোনা মহামারিতে যখন সারাবিশ্বের অর্থনীতি বেসামাল তখনো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।