১৩তম গ্রেডে বেতন, দ্রুত বাস্তবায়ন চায় শিক্ষকরা

  © প্রতীকী ছবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব সহকারী শিক্ষককের বেতন ১৩তম গ্রেডে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অর্থ বিভাগের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সোমবার (১২ অক্টোবর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ এর আগে এবং পরে নিয়োগ পাওয়া সবার ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে। এদিকে, মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে শিক্ষকরা নির্দেশনাটির দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৩তম করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এতদিন  প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকেরা ১৪তম গ্রেডে ও প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষকেরা ১৫তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছিলেন।

কিন্তু পরিবর্তিত নিয়োগবিধির কারণে যোগ্যতার কারণে বেতন নির্ধারণ করতে গিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। তাতে অসংখ্য শিক্ষক বঞ্চিত হতে যাচ্ছিলেন। কারণ, ২০১৯ সালের নিয়োগবিধি জারি হওয়ার আগে যে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল, পরে তা বাড়ানো হয়। এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এখন আগের নিয়োগবিধি অনুযায়ী যাঁরা সহকারী শিক্ষক হিসেবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদেরও শিক্ষাগত যোগ্যতানির্বিশেষে বেতন গ্রেড-১৩–এর সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, কোমলমতি শিশুদের শিক্ষাদানে নিয়োজিত শিক্ষকদের বিরাজমান সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ২০১৯ সালের নিয়োগবিধি জারি হওয়ার পূর্বের নিয়োগবিধি অনুযায়ী যারা সহকারী শিক্ষক হিসেবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে বেতন গ্রেড-১৩ এর সুবিধা পাওয়ার বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা প্রদান করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দিন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সবার বেতন ১৩তম গ্রেডে হোক, সেটা আমরা চাই। মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে সেটি সহজ হয়েছে। এখন দ্রুত এই সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়ন করা হোক।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবি ছিল, সব সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে করা। আমরা আমাদের সেই মূল দাবি থেকে সরে আসিনি। করোনার কারণে হয়তো তা নিয়ে কোন কর্মসূচি আপাতত আমাদের নেই। তবে আগামীতে থাকবে বলে তিনি জানান।

জহিরুল আলম নামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এই সিদ্ধান্তে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ জানাচ্ছি। ১৩তম গ্রেডের সিদ্ধান্তটি আমরা দ্রুত পরিপত্র আকারে প্রকাশ করা হবে বলে আশা রাখছি।


সর্বশেষ সংবাদ