প্রাথমিক শিক্ষানীতির প্রয়োগ নিশ্চিতে ৮ সুপারিশ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২০, ০৯:৪১ PM , আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২০, ০৯:৪১ PM
শিশু অধিকার সুরক্ষায় ‘জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০১০’ অনুযায়ী অবিলম্বে প্রাথমিক শিক্ষানীতির প্রয়োগ নিশ্চিত করাসহ আটটি সুপারিশ করেছে চাইল্ড রাইটস অ্যাডভোকেসি কোয়ালিশন ইন বাংলাদেশ।
সংগঠনটির পক্ষে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সেক্রেটারি জেনারেল মো. নূর খান সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে রবিবার (১১ অক্টোবর) এ তথ্য জানানো হয়।
২০১৯ সালে মোট ১১টি জেলায় শিক্ষা নিয়ে চালানো জরিপের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শিশু অধিকার সুরক্ষায় এসব সুপারিশ করা হয় বলে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
অন্য সুপারিশগুলো হচ্ছে- নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় শিশুদের মতামত গ্রহণ ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা। বিশেষ করে কন্যা শিশুদের মতামত দেওয়ার স্থান করে দেওয়া এবং শিশুর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুলে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করে দেওয়া। শিশু খাতে বাজেট নির্ধারনের আগে শিশুদের সঙ্গে এবং শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করছে এমন সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে তাদের মতামত নেওয়া। সরকারের ঘোষিত শিশু বিষয়ক পৃথক অধিদফতরের প্রতিষ্ঠা তরান্বিত করা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও উচ্চ আদালতের নির্দেশনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ঘরে-বাইরেও, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবং কর্মক্ষেত্রে কিংবা যেকোনো অবস্থায় শিশুদের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি দেওয়ার প্রচলন নিষিদ্ধ করতে নিষিদ্ধ করতে শিশু আইন ২০১৩ তে নতুন বিধান অন্তর্ভুক্ত করা। প্রতিবন্ধী, আদিবাসী, পথশিশু, শিশু যৌনকর্মী এবং এমনসব পিছিয়ে পড়া শিশুদের এগিয়ে নিয়ে আসতে জাতীয় পরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়ন। বাল্য বিয়ে রোধে গৃহীত পরিকল্পনাগুলোর প্রয়োগ নিশ্চিত করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সেগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন করা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রবিবার (১১ অক্টোবর) জরিপের প্রতিবেদন ও সুপারিশের মোড়ক উন্মোচন করা হবে। যাতে সরকার এসব সুপারিশ গুরুত্বসহকাওে বিবেচনা করে দ্রুততার সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।