সাত দফা দাবিতে আন্দোলনে মাদরাসা শিক্ষকরা

সাত দফা দাবিতে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন
সাত দফা দাবিতে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন   © সংগৃহীত

জাতীয়করণসহ সাত দফা দাবিতে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক সমিতি মানববন্ধন করেছে। বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন তার। এ সময় তারা দাবি আদায়ে লাগাতার আন্দোলনেরও ঘোষণা দেয়।

আন্দোলনকারীরা বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসায় একই সিলেবাসে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীরা সমাপনীর মতো ইবতেদায়ী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো সরকারের সকল কাজে অংশগ্রহণ করে। অথচ মাস শেষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ২২ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পায়, ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকরা তেমন কোনো বেতন ভাতা পান না। এটা আমাদের সাথে বৈসম্যমূলক আচরণ ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা এ বৈসম্য থেকে মুক্তি চাই।

সংগঠনটির সভাপতি মাওলানা হাফিজ কাজী ফয়েজুর রহমান বলেন, ২০১৮ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট ও অনশন চলাকালীন সময় সরকারের নির্দেশে সচিব মহাদয় আন্দোলন স্থলে এসে শিক্ষকদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকরা সর্বসাকুল্যে প্রধান শিক্ষক ২৫০০ টাকা, সহকারী শিক্ষক ২৩০০ টাকা ভাতা পান। বাকি শিক্ষকরা ৩৪ বছর যাবৎ বেতন-ভাতা বঞ্চিত রয়েছে।

জানা গেছে, ১৯৭৮ সালের অর্ডিনেন্স ১৭ (১) ধারা মোতাবেক মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের শর্ত পূরণ সাপেক্ষে রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয়। রেজিষ্ট্রেশন হওয়ার পর থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিধি মোতাবেক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।

অন্যদিকে ১৯৯৪ সালে একই পরিপত্রে রেজিষ্ট্রার বেসরকারি প্রাইমারি ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের বেতন ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে বিগত সরকারের সময়ে ধাপে ধাপে বেতন বৃদ্ধি করে বর্তমানে প্রধান শিক্ষকদের ৩ হাজার ও সহকারী শিক্ষকদের আড়াই হাজার টাকা করা হয়েছে। অপরদিকে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাইমারি স্কুল জাতীয়করণ করে সকল শিক্ষককে সরকারি করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ