ভাঙনের মুখে চর গোদাগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

চরগোদাগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
চরগোদাগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়  © সংগৃহীত

বগুড়ায় সারিয়াকান্দিতে যমুনা ও বাঙালি নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। বেশ কয়েকদিন ধরে বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা এই পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্রবল স্রোত ও ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হওয়ায় তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত শনিবার সকালে যমুনা নদীতে পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

এদিকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে সারিয়াকান্দির চরগোদাগাড়ী এলাকায় নদী ভাঙনের কারণে চরগোদাগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের মেঝের মাটি ধসে গিয়ে বিদ্যালয়টি হুমকির মুখে পড়েছে। তবে এই ভাঙন অব্যাহত থাকলে যে কোনো মুহূর্তে ভবনটি নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা ঢলে শনিবার সকালে বাঙালি নদীর পানি বিপৎসীমার তিন সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। অপরদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি পাঁচ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজার রহমান বলেন, এ বছর নদী ভাঙন বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০০২ সালে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবনটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ভবনটি রক্ষা করতে না পারলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হবে। এলাকাবাসীরা ভাঙন রোধে জরুরিভিত্তিতে কাজ করে বিদ্যালয় ভবনটি রক্ষার দাবি জানিয়েছেন।

এছাড়া সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম জানান, পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন করে উপজেলার ৩শ’ হেক্টর জমির ফসল বন্যা কবলিত হয়েছে। দু’টি নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে সারিয়াকান্দি সদর, চালুয়াবাড়ী, কাজলা, বোহাইল, কর্ণিবাড়ী, হাটশেরপুর, চন্দনবাইশা, ইউনিয়নের ফসলি জমি, শাকসবজি, মাশকালাই, মরিচ, রোপা আমন বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।


সর্বশেষ সংবাদ