প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার স্থাপনের তথ্য চেয়েছে ডিপিই

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার  © সংগৃহীত

সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার স্থাপনের তথ্য চেয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। আজ বুধবার (২৩) সেপ্টেম্বর ডিপিই’র সহকারী পরিচালক (পলিসি এন্ড অপারেশন) তাপস কুমার আচার্য্য স্বাক্ষরিত এই নির্দেশনা জারি করা হয়।

জরুরি ভিত্তিতে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে ডিপিইতে এ তথ্য পাঠাতে হবে। সকল বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কাছে নির্দেশনাটি পাঠানো হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার স্থাপনের জন্য নিম্নোক্ত ছক মোতাবেক জরুরি ভিত্তিতে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রেরণ করার অনুরোধ করা হলো। অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত আগস্ট মাসের সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে নির্দেশনায় বলা হয়।

যেখানে ছকে প্রথমে বিভাগের নাম, জেলার নাম, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট সংখ্যা, শহীদ মিনার স্থাপিত হয়েছে এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা, শহীদ মিনার স্থাপিত হয়নি এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা, ২০১৯-২০ অর্থবছরে শহীদ মিনার স্থাপিত হয়েছে এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা লিখে পাঠাতে হবে।

এ ব্যাপারে ডিপিই’র সহকারী পরিচালক (পলিসি এন্ড অপারেশন) তাপস কুমার আচার্য্য দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সরকারি উদ্যোগ ছাড়াও বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার স্থাপিত হয়ে থাকে। এজন্য আমরা প্রতিবছর এরকম তথ্য সংগ্রহ করি। এ উদ্যোগ এটির একটি অংশ।

বাঙালি জাতিসত্তার গৌরবোজ্জ্বল ও স্মৃতিবিজড়িত বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের স্মরণে প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি সারাবিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। সরকারি ছুটির দিন হলেও, দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয় খোলা থাকে এই দিনে।

ভাষা শহীদদের স্মরণে সর্বস্তরের মানুষ একুশে ফেব্রুয়ারি প্রভাতফেরিতে বের হন শহীদ মিনারে ফুল দিতে। যেসব বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই, সেখানে তৈরি করা হয় অস্থায়ী শহীদ মিনার। 

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৬২০। শহীদ মিনার রয়েছে ১৪ হাজার ৯১৩ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

ডিপিই’র বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্যে দেখা যায়, দেশের বেশকিছু জেলার শতকরা ৯০ ভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই শহীদ মিনার নেই।

বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শহীদ মিনার না থাকার কারণ হিসেবে তহবিল ঘাটতির কথা বলছেন বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা। তবে, শহরের বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার না থাকার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে জায়গার সংকটের কথা।


সর্বশেষ সংবাদ