জেলা পর্যায়ে ২৫ শতাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেয়ার প্রস্তাব
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৭:২১ PM , আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৭:২১ PM
দেশে ধীরে ধীরে কভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় জেলা পর্যায়ে ২৫ শতাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মাঠ পর্যায়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে অনুষ্ঠিত শিক্ষকদের বৈঠক থেকে এ প্রস্তাব দেয়া হয়।
এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে নিজ নিজ মন্ত্রণালয়কে সিদ্ধান্ত নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নির্দেশনা আসে। এর পর মাঠ পর্যায়ে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাদের মতামতের ভিত্তিতে ২৭ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সভা করে স্কুল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো কীভাবে চালু করা যায়, সে বিষয়ে সারাদেশের মাঠপর্যায়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে পরামর্শ নেয়া হচ্ছে। অনেকে প্রথম ধাপে জেলা পর্যায়ের ২৫ শতাংশ বিদ্যালয় খুলে দেয়ার প্রস্তাব জানিয়েছেন। আরও অনেক জেলার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে তারা সে সব পরামর্শ দেবেন, তার আলোকে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ে সভা করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এরপর সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি বিবেচনার মাধ্যমে কবে থেকে বিদ্যালয় খোলা যায়, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বর্তমানে বিদ্যালয়গুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে শিক্ষকদের নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে , শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে নিজ নিজ মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে-মন্ত্রিপরিষদ সচিবের এমন ঘোষণার পর মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এবং সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করেছেন। প্রথম ধাপে রাজধানী ঢাকার স্কুলগুলো না খুলে মফস্বল পর্যায়ের ২৫ শতাংশ স্কুল খোলার পরামর্শ এসেছে। শহরের বিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকালেও এসব শিক্ষার্থী টিভি, রেডিওসহ নানা মাধ্যমে ক্লাস করার সুযোগ পাচ্ছে।
অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতির কারণে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় মফস্বলের শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে তারা টিভি-রেডিও ক্লাসের সুযোগ পাচ্ছে না। এ কারণে শিক্ষক-কর্মকর্তারা মফস্বল পর্যায়ের ২৫ শতাংশ স্কুল খুলে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।