বাদ পড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে মানববন্ধন
নতুন করে আর কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ না করার সরকারি বিজ্ঞপ্তি পর বাদ পড়া বিদ্যালয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করার দাবি উঠেছে নীলফামারীতে। আজ রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও সমাবেশ করে জেলার বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।
২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি দেশের ৩০ হাজার ৩৫২টির মধ্যে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, এরপর পরিসংখ্যানের ভুলের কারণে চার হাজার ১৫৯টি বিদ্যালয় জাতীয়করণের তালিকা থেকে বাদ পড়ে।
এরপর দেশের আরো এক হাজার ৩০০ বিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্য উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে যাচাই-বাছাই শেষে মন্ত্রণালয়ে তথ্য পাঠানো হয়।
এদিকে, গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এরই মধ্যে নির্বাচিত ২৬ হাজার ১৯৩টি বিদ্যালয়ের বাইরে আর কোনো বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হবে না।
এই বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন শেষে সমাবেশে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্যাহ মিঞা জানান, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) এক অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ২৬ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হলেও যেসব প্রাথমিক জাতীয়করণ করা হয় নাই সেগুলো জাতীয়করণের ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছিলেন।
প্রতিমন্ত্রীর সেই কথার প্রসঙ্গ টেনে তিনি মন্ত্রণালয়ের ওই বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়া সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দ্রুত জাতীয়করণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নীলফামারী জেলার এ সমিতির সভাপতি ওবায়দুর রহমান বলেন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত জাতিকে শিক্ষিত করার লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালের পহেলা জুলাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রায় ৩৭ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেছিলেন। এরপর প্রায় ৪০ বছর কেউ নতুন করে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যায় জাতীয়করণ করেনি বলেন তিনি।
সমাবেশ শেষে জেলার ডিসি হাফিজুর রহমানের মাধ্যমে এসব দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছেন এ সংগঠনের নেতারা।