প্রাথমিকের পাঠ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত না হলে ‘অটোপাস’
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য সংক্ষিপ্ত পাঠ পরিকল্পনা তৈরি করে তা প্রকাশ করেছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (ন্যাপ)। আগামী ১ নভেম্বর থেকে ক্লাস শুরুর টার্গেট নিয়ে ৩৯ দিনের এ পরিকল্পনা প্রকাশ করে তারা।
তবে এর মধ্যে বিদ্যালয় চালু করা গেলে পাঠ পরিকল্পনাটি কার্যকর হবে। এক্ষেত্রে স্কুল খোলা সম্ভব হলে ১ নভেম্বর থেকে আগামী ২৯ ডিসেম্বরের পর্যন্ত পঞ্চম শ্রেণির কার্যক্রম চলবে বলে জানা গেছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সংক্ষিপ্ত পাঠ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত না হলে আর মূল্যায়নের সুযোগ থাকবে না। সেক্ষেত্রে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অটোপাস দিতে হবে। এছাড়া অন্যান্য শ্রেণিতেও অটো প্রমোশন দেওয়া হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন এ বিষয়ে বলেছিলেন, ‘অক্টোবর ও নভেম্বর টার্গেট করে দুটি পাঠ পরিকল্পনা তৈরি করেছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হলে অক্টোবরের লেসন প্ল্যান নিয়ে কাজ করবো। সেটি সম্ভব হলে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭৬ দিন সময় পাবো।’
তিনি বলেন, ‘অক্টোবরে খোলা না গেলে নভেম্বরের প্ল্যান অনুমোদন করেছি। এক্ষেত্রে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ৪০ দিন সময় পাবো। সেটি যদি বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে মূল্যায়নের ব্যবস্থা করতে পারবো। আর যদি স্কুল খোলা না যায় তাহলে প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন, অটোপাস ছাড়া উপায় নেই।’
প্রসঙ্গত, করোনার কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে প্রাথমিক স্তরের প্রায় দেড় কোটি শিক্ষার্থীর পড়ালেখা বন্ধ হয়ে গেছে। এই ক্ষতি পূরণে ও শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।