প্রাথমিকে উন্নয়ন বরাদ্দ বাড়ছে, কাজ বাড়বে ম্যানেজিং কমিটিরও

  © ফাইল ফটো

করোনা পরিস্থিতিতে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুল ম্যানেজিং কমিটির (এসএমসি) কাজের পরিধি বাড়ছে। এজন্য নীতিমালা সংশোধন করা হবে। মহামারি পরিস্থিতিতে বিদ্যালয় পরিচালনায় অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি ও ব্যয়ের ক্ষেত্রেও নতুন নিদের্শনা আসছে। এতে বার্ষিক উন্নয়নের পাশাপাশি মেডিকেল সরঞ্জাম ক্রয়ের নির্দেশনাও থাকবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়ের ক্লাস কার্যক্রম বদলে যাবে। বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে থার্মোমিটার, মাস্ক, সাবান, জীবাণুনাশক ক্রয়সহ পোস্টার, লিফলেট তৈরি করা হবে। এগুলো এসএমসি নীতিমালায় থাকবে।

জানা গেছে, প্রতিবছর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন বাবদ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এ অর্থ দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ উন্নয়নের কাজ করেন এসএমসির সদস্যরা। বর্তমানে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধির চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মত বিষয়গুলো নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত হবে। এটি চূড়ান্ত করতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সভা ডাকা হয়েছে।

এতে সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন সভাপতিত্ব করবেন। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এসএমসি সদস্যদের কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হবে। স্বাস্থ্যবিধি-সংক্রান্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নে নীতিমালা সংশোধনের কাজ শুরু হয়েছে। করোনার মধ্যে তারা কীভাবে দায়িত্ব পালন করবেন তা যুক্ত হবে। বার্ষিক উন্নয়নের অর্থ দিয়ে মেডিকেল সরঞ্জাম ক্রয়সহ কোন খাতে ব্যয় হবে তা যুক্ত করতে সভা ডাকা হয়েছে বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা করছে সরকার। এজন্য স্বাস্থ্যবিধি প্রণয়নও করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্যবিধিতে নানা ধরনের কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই ওই সভা ডাকা হয়েছে।

এরমধ্যে থার্মোমিটার ক্রয়, পানির ব্যবস্থা, ছেলে-মেয়েদের পৃথক শৌচাগার, মেয়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা, বিদ্যালয় প্রাঙ্গণসহ শ্রেণিকক্ষ ও টয়লেট জীবাণুমুক্ত করার মতো বিষয় রয়েছে। এজন্য প্রয়োজনীয় জীবাণুনাশক, সাবানসহ পরিচ্ছন্নতা উপকরণ সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।

স্বাস্থ্যবিধিতে বলা হয়েছে, প্রতি শিফটে একবার পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা, প্রতিদিন আবর্জনা পরিষ্কার ও সংরক্ষণকারী পাত্র জীবাণুমুক্ত করা, টয়লেট ব্যবহারের পর হাত জীবাণুমুক্ত করতে প্রশিক্ষণ প্রদান ও সচেতন করে তোলা, কেউ অসুস্থ হলে বিদ্যালয়ে যাওয়া থেকে বিরত রাখা, অসুস্থ সন্তানকে বিদ্যালয়ে না পাঠাতে অভিভাবকদের অনুরোধ করা এবং এজন্য কোনো শিক্ষার্থী শ্রেণি মূল্যায়নে যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এছাড়া সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। অন্যসব স্বাস্থ্যবিধিও আবশ্যিকভাবে মানতে বলা হয়েছে। হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় টিস্যু বা কনুই ব্যবহার করতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি লিফলেট, পোস্টার ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সবার মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ