০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:৩৭

টাইম স্কেল ফেরত দিতে চান না প্রাথমিক শিক্ষকরা

  © সংগৃহীত

চাকরি জাতীয়করণ হওয়া প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশের ভোগ করা টাইম স্কেলের সুবিধাদি ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সেই নির্দেশনা বাতিলের দাবি জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষক মহাজোট। শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনের আহবায়ক আমিনুল ইসলাম চৌধুরী এ দাবি জানান।

২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক ঘোষণায় এক লাখ চার হাজার ৭৭২ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণ করা হয়। সেখান থেকে ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের টাইম স্কেল ফেরত দিতে বলা হয়েছে। ওই নির্দেশ বাতিলসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষক মহাজোট।

দাবি না মানলে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার ঘোষণা দেন আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং এক লাখ চার হাজার ৭৭২ জন শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণ করার ঘোষণা দেন। এ ঘোষণা বাস্তবায়নে পরিপত্র ও গেজেট প্রকাশ করা হয়।

তিনি আরো বলেন, ২০১৭ সালের ৮ অক্টোবর এক পত্রের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে ডেকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের বিধি ৯-এর উপবিধি-১ এর ‘ভুল ব্যখ্যা’ দিয়ে কার্যকর চাকরির পরিবর্তে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি জাতীয়করণের দিন ধরে জ্যেষ্ঠতার তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দেয়।

আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জাতীয়করণকৃত সহকারী শিক্ষকদের জন্য যত আইন ও পরিপত্র জারি করেছে, তার কোনোটিতেই ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি ধরে গণনা করার কথা বলা হয়নি। এই শিক্ষকরা জাতীয়করণের পর থেকেই বেতন-ভাতা ও সব সুবিধা গ্রহণ করছেন। এ পরিস্থিতিতে গত ১২ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয় প্রায় আট বছর পর শিক্ষকদের ভোগ করা টাইম স্কেল ফেরতের নির্দেশ দিয়ে পরিপত্র জারি করে।

পরিপত্রটি বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সহকারী শিক্ষকদের গেজেট অনুসারে কার্যকর চাকরিকাল ৫০ শতাংশ গণনা করে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দিতে হবে। এছাড়া এসএমসির নিয়োগপ্রাপ্ত গেজেট থেকে বাদ পড়া প্রধান শিক্ষকদের নামের গেজেট দ্রুত প্রকাশ করারও দাবি জানান তারা।