উত্তোলিত টাইমস্কেল ফেরত প্রদানের নির্দেশপত্র বাতিল চান প্রাথমিক শিক্ষকরা
অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৪৮ হাজার ৭২০ জন জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষকদের উত্তোলিত টাইমস্কেল ফেরত প্রদানের নির্দেশপত্র বাতিলের দাবি জানিয়েছে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষক মহাজোট। আজ শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
মহাজোট সভাপতি আমিনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, জাতীয়করণকৃত সহকারী শিক্ষকদের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক যতগুলো আইন ও পরিপত্র জারি করা হয়েছে তার কোনটিতেই জাতীয়করণের তারিখ ধরে গণনা করার কথা বলা হয়নি। অন্যদিকে, পৌনে ৮ বছর পর একই কায়দায় বিধি ৯ উপবিধি ১ এর ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে কিছু সংখ্যক ষড়যন্ত্রকারীর কু-প্ররোচনায় জাতীয়করণ পূর্বের চাকরিকাল গণনা না করে হিসাব রক্ষণ অফিসগুলো প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের উত্তোলনকৃত টাইমস্কেল ফেরত প্রদানের জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, গত ১২ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক পৌনে ৮ বছর পর কর্মরত শিক্ষকদের ভোগকৃত টাইমস্কেল ফেরত প্রদানের জন্য এক পত্র জারি করেন। এরফলে ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষক চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষক টাইমস্কেলসহ অন্যান্য সুবিধাদি ভোগ করে মৃত্যুবরণ ও অবসরে চলে গিয়েছেন। এমতাবস্থায় অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক অন্যায়ভাবে জারিকৃত পত্রটি প্রত্যাহার করা একান্ত প্রয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে তিনটি দাবি জানানো হয়। এর মধ্যে রয়েছে- গত ১২ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃতপত্র বাতিল করতে হবে; অধিগ্রহণকৃত সহকারী শিক্ষকদের গেজেট অনুসারে কার্যকর চাকরিকাল (৫০ শতাংশ) গণনা করে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি প্রদানসহ এসএমসি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত গেজেট থেকে বাদ পড়া প্রধান শিক্ষকদের নামের গেজেটে দ্রুত প্রকাশ করতে হবে৷
জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষক মহাজোটের সভাপতি আমিনুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক মহাসচিব রাধা রাণী ভৌমিক, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত)আবুল কাশেম আজাদ, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।