করোনার মধ্যেই নির্দেশনা অমান্য করে খুলল প্রাথমিক স্কুল!
দেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এর সংক্রমণ রোধে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়া এ বন্ধের মেয়াদ কয়েক ধাপে বেড়েছে। পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বন্ধের মেয়াদ বেড়ে তা ৩ অক্টোবর পর্যন্ত রাখা হয়। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে অনলাইন ও সংসদ টিভিতে ক্লাস নেয়া হচ্ছে।
করোনা পরিস্থিতিতে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের এই সময়ে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে খোলা রয়েছে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের সোতাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এতে শিক্ষার্থীরা সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে এবং অধিকাংশই মাস্কবিহীন অবস্থায় বিদ্যালয়ে আসছে। ফলে ব্যাপকভাবে করোনা সংক্রামণের আশঙ্কা করছে সচেতনমহল।
গত বুধবার বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় একটি কক্ষে ১০ থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী ক্লাস করছে। এছাড়া শিক্ষক মিলনায়তনও ক্লাস নিচ্ছেন একজন শিক্ষক। সে সময় অধিকাংশ শিক্ষার্থীর মুখেই মাস্ক ছিল না। ছিল না নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাদিরা বেগম বলেন, ‘ক্লাস নেয়ার বিষয়ে ডিপিইও অর্থাৎ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের মৌখিক নির্দেশনা আছে। অফিস থেকে চার পাতার একটা চিঠি স্কুল কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়েছে, যেখানে উল্লেখ আছে প্রয়োজনে অভিজ্ঞ শিক্ষকরা পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস নিতে পারবেন।’
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক জানান, সরকারী এই বিদ্যালয়ে করোনাকালীন এই সময়ের মধ্যেও টাকার বিনিময়ে কোচিং করানো হয়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু আহাদ বলেন, ‘এতেতো দোষের কিছু নাই। বাচ্চাদেরতো উপকারই হচ্ছে। সরকার স্কুলে এনে বাচ্চাদের পড়াতে বলেনি। মোবাইলে পাঠ দিতে বলেছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিতে হবে।’