প্রাথমিকের বার্ষিক পরীক্ষা ডিসেম্বরের শেষে
করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (ইইসি) পরীক্ষা হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে এই পরীক্ষা বাতিল করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হলে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা ডিসেম্বরের শেষের দিকে নেয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) পরীক্ষার পরিমার্জিত পাঠ-পরিকল্পনা অনুমোদন পেয়েছে। পিইসি বাতিলের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন তাৎক্ষণিক ব্রিফিংয়ে বলেন, করোনার মধ্যে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিতে ফেলতে চাই না। এজন্য পিইসি-ইইসি পরীক্ষা বাতিল করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠাই। প্রধানমন্ত্রী তাতে সম্মতি দিয়েছেন।
তিনি জানান, পরীক্ষা না হলেও শিক্ষার্থীদের ক্লাস মূল্যায়ন করে ষষ্ঠ শ্রেণিতে উন্নীত করা হবে। বাকি ক্লাসের বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন জানান, কেন্দ্রীয়ভাবে পিইসি-ইইসি পরীক্ষা না হওয়ায় পঞ্চম শ্রেণিতে বৃত্তি প্রদান করা হবে না। তবে উপবৃত্তি প্রদান করা হবে। আগামী বছর পরীক্ষা হলে আবারও বৃত্তি দেওয়া শুরু করা হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা নিতে পাঠ পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তা তৈরি করেছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ)।
সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. শাহ আলম জানান, বৃহস্পতিবার অনুমোদিত ‘পরিমার্জিত বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা-২০২০’ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) মাধ্যমে তা স্কুলে স্কুলে পাঠানো হবে। এটা দেখে শিক্ষকরা পাঠদানের প্রস্তুতি নেবেন।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের শেষ দিকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। সে মোতাবেক পরিকল্পনায় অক্টোবরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে কতটুকু পড়ানো হবে, আর নভেম্বরে খুললে কতটুকু পড়ানো হবে, তার প্রস্তাব করা হয়েছে। অক্টোবরে খুললে ৫৭ কর্মদিবস পাওয়া যাবে। আর নভেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে পাওয়া যাবে ৪০ কর্মদিবস।