প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, যা বললেন শিক্ষা অফিসার
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আবু তোয়াব মজুমদারের (পলাশ) ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপের বক্তব্যের স্ক্রীনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই বক্তব্যে তিনি শিক্ষকদের সম্পর্কে আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করেছেন অভিযোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা।
এ নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি ও গ্রুপেও তীব্র সমালোচনা চলছে। সরকারি প্রথামিক সহকারী শিক্ষক সমিতির বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ ফেসবুকে ওই বক্তব্যের স্ক্রীনশট ফেসবুকে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘একজন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের এমন আপত্তিকর শব্দ সম্বলিত আদেশ দিয়ে পোস্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ ওই বক্তব্যকে অসম্মানজনক ও আপক্তিকর বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ওই বক্তব্যে যেসব শিক্ষক গণিত অলিম্পিয়াড কোর্স করেনেনি তাদের তালিকা সংগ্রহের কথা বলেছেন শিক্ষা অফিসার। এছাড়া অফিসে গিয়ে কারণ দর্শাতে হবে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। সেখানে কোর্সটি করার জন্য ‘খাওয়া, ঘুম, টয়লেট, বদনা খোঁজাখুঁজি’-এর মতো শব্দ ব্যবহার করেছেন তিনি। এটি নিয়েই ক্ষুব্ধ হয়েছেন শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরসরাই উপজেলার উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আবু তোয়াব মজুমদারের (পলাশ) দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘এটি আমাদের একেবারেই প্রাইভেট গ্রুপ। সেখান থেকে কোনোভাবে লিক হয়েছে। গ্রুপের সবার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এ কারণেই আমি অনেকটা ফান করে এমন কথা বলেছি। এগুলো অবশ্যই আপত্তিকর। তবে তাদের সাথে ভালো সম্পর্কের কারণেই এমন কথা বলেছি।’
তিনি বলেন, ‘সেখানে কাউকে অসম্মান করা বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে আমি এমন কথা বলিনি। বিষয়টি এতদূরে যাবে তাও ভাবিনি। এরপরও যেহেতু বিষয়টি প্রকাশ পেয়ে গেছে, আমি গ্রুপে এটি নিয়ে আমার অবস্থান পরিষ্কার করব। এখানে আমার অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। শুধু কোর্সটার গুরুত্ব বুঝিয়ে সেটি শেষ করার চেষ্টা করেছি।’
উল্লেখ্য, গত ৯ ও ২০ আগস্ট গণিত অলিম্পিয়াড এসো গণিত শিখি কোর্সে প্রতি বিদ্যালয়ের দু’জন শিক্ষকের অংশগ্রহণের নির্দেশনা ছিল। পরে গত ২৫ আগস্ট কোর্স না করা শিক্ষকদের বিষয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন বলে জানা গেছে।