১৮ আগস্ট ২০২০, ০৮:৩৬

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬৪৩ স্কুল মেরামতে লাগবে সাত কোটি টাকা

করোনার কারণে বন্ধ থাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্যা ও নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে। টাঙ্গাইলে এবার দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় জেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় সাত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অনেক বিদ্যালয় পানিতে ডুবে গেছে। নিমজ্জিত থাকায় মাটি নরম হয়ে অনেক বিদ্যালয় দেবে গেছে। কোনোটির দেয়াল দেবে গেছে, আবার কোনোটির মেঝে ফেটে গেছে। বিদ্যালয়ের মাঠগুলোতে পানির স্রোতে পাঁচ থেকে সাত ফুট গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

এর মধ্যে তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে, হুমকির মুখে রয়েছে আরও অন্তত ১১টি। যে কোনো সময় এগুলোও বিলীন হয়ে যেতে পারে। টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে, এবার বন্যায় জেলার এক হাজার ৬২৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৪৩টির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে নির্মিত ৬৫টি বিদ্যালয়েরও বেশ ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব বিদ্যালয় মেরামত ও নির্মাণ করতে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

ইতোমধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ৬৪৩টি বিদ্যালয়ের ক্ষতি নিরূপণ করে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকার একটি হিসাব প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠিয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, এবার বন্যার পানি বেশিদিন অবস্থান করায় ক্ষয়ক্ষতিও বেশি হয়েছে। নাগরপুরে দুটি বিদ্যালয় আগেই বিলীন হয়েছে। এবার ভেঙে গেছে একটি। স্থান নির্ধারণ না হওয়ায় আগের দুটি বিদ্যালয় নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। ভেঙে যাওয়া বিদ্যালয়টির জন্য বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত সব বিদ্যালয় মেরামতের জন্য এক মাসের মধ্যে বরাদ্দ পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তিনি।