প্রাথমিকে করোনার ক্ষতি কাটাতে নতুন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে প্রতিষ্ঠানগুলো। এই ছুটি আরও বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা ইতোমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আগামী সেপ্টেম্বরের আগে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া শুরু হলে সেপ্টেম্বরের শুরুতে বা মাঝামাঝি সব ধরনের প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হতে পারে। এ অবস্থায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন করে শ্রেণিভিত্তিক মৌলিক সক্ষমতা অর্জনের বিষয় চিহ্নিত করে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে শিক্ষাবর্ষ শেষ করার দিকে জোর দিচ্ছে সরকার।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেছেন, ‘আগামী সেপ্টেম্বরের আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না। পরিস্থিতি ভালো হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।সেপ্টেম্বর মাথায় রেখে শ্রেণিভিত্তিক মৌলিক সক্ষমতা বা কোর কম্পিটেন্ট অর্জনে বিষয় চিহ্নিত করে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করার জন্য জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে ডিজিকেও বলেছি। ’
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের শ্রেণিভিত্তিক কোর কম্পিটেন্ট অর্জনের বিষয় চিহ্নিত করে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করতে নেপকে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ছুটি শেষ হলে ওই সিলেবাস সম্পন্ন করে ডিসেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। শিক্ষাবর্ষ কোনওভাবেই যাতে পিছিয়ে না যায় সে লক্ষ্যে এ ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
সচিব বলেন, ‘পরবর্তী ক্লাসে যেসব বিষয় থাকবে শিক্ষার্থীদের জন্য সেগুলোর সঙ্গে রিলেভেন্ট বিষয়গুলো চিহ্নিত করে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করতে বলা হয়ছে। যে চ্যাপ্টারগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো চিহ্নিত করে সিলেবাস তৈরি হবে। যদি সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারি তাহলে এর ভিত্তিতে ক্লাস হবে এবং মূল্যায়ন করা হবে।’
প্রসঙ্গত, করোনার কারণে আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষ হতে এখনও বেশ কয়েকদিন বাকি রয়েছে। ছুটি শেষ হওয়ার আগেই আলোচনা করে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা বা কবে নাগাদ খোলা যাবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
দেশে চলমান কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া নিশ্চিত সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠদান অব্যাহত রেখেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।