প্রাথমিকে প্যানেল নিয়োগের সুযোগ নেই: ডিজি

  © ফাইল ফটো

প্যানেল তৈরির মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে না। সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী নিয়োগের যে প্রক্রিয়া সেই অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ বিধি মালার বাইরে ভিন্ন প্রক্রিয়ায় নিয়োগের সুযোগ নেই।

আজ মঙ্গলবার (২ জুন) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. ফসিউল্লাহ।

জানা গেছে, মামলা জটিলতায় আটকে থাকার দীর্ঘ চার বছর পর ২০১৮ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় সারাদেশ থেকে ২৪ লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় ৫৫ হাজার ২৯৫ জন উত্তীর্ণ হন। আর ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পেরে প্রায় ৩৭ হাজার ১৪৮ জন নিয়োগ বঞ্চিত হন।

এ প্রসঙ্গে মো. ফসিউল্লাহ বলেন, আমরা সব সময় স্বচ্ছতা বজায় রেখে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করি। নিয়োগ প্রক্রিয়াটি অনেক জটিল। এখানে যারা সেরা তাদেরকেই নিয়োগ দেয়া হয়। ফলে ২০১৮ সালে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে যারা মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল তাদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। নিয়োগ বিধির বাইরে অন্যভাবে নিয়োগের কোন সুযোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, আমরা দুই বছর পর যে পদগুলো শূন্য হবে সেটি মাথায় রেখে আগামীতে সার্কুলার প্রকাশ করবো। সেখানে নতুন-পুরাতন সবাই আবেদন করুক। এদের মধ্যে যারা নিয়োগ প্রক্রিয়ার পরীক্ষাগুলোতে পাশ করতে পারবে, তারা নিয়োগ পাবে।

এদিকে প্যানেল গঠন করে নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ প্যানেল প্রত্যাশী কমিটির নেতারা। তারা বলছেন, শিগগির প্যানেল তৈরির মাধ্যমে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা না দেয়া হলে তারা কঠোর আন্দোলনে যাবেন।

এ বিষয়ে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ প্যানেল প্রত্যাশী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আবু হাসান জানান, মামলা জটিলতার কারণে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে কোনো সার্কুলার হয়নি। ফলে অনেকের সরকারি চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে। তাই বিদ্যালয়ের শূন্য আসনের ভিত্তিতে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এই ৩৭ হাজার ১৪৮ জনকে প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগে সুপারিশ করতে হবে।

সংগঠনটির সভাপতি মো. আব্দুল কাদের জানান, আগামী সপ্তাহে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেব। এছাড়া প্রত্যেক জেলায় জেলা প্রশাসকের কাছেও স্মারকলিপি দেয়া হবে। করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের আন্দোলন স্থগিত আছে। শিগগির প্যানেল গঠনের মাধ্যমে নিয়োগের ঘোষণা না আসলে করোনা পরিস্থিতির পর আমরা কঠোর আন্দোলন শুরু করবো।


সর্বশেষ সংবাদ