১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২১:১৮

বাড়ছে প্রধান শিক্ষকদের বেতনও

  © ফাইল ফটো

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন বেড়েছে। সারাদেশের ৩ লাখ ৭৫ হাজার শিক্ষকের বেতন বাড়িয়ে আদেশ জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিকে একইসঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতনও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন।

রবিবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেল ১৩তম গ্রেড (১১ হাজার টাকার স্কেল) করার বিষয়টি জানাতে গিয়ে প্রধান শিক্ষকদেরও বেতন বাড়ানোর বিষয়টিও জানিয়েছন তিনি।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন সম্মানজনক গ্রেডে নেওয়া। সেটির বাস্তবায়ন করা হলো। সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বেড়েছে। নতুন এই বেতন স্কেল শিক্ষকদের জীবনমান আরও উন্নত করবে এবং সামগ্রিকভাবে তা শিক্ষার জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে বলে মনে করি।

তিনি জানান, শিগগিরই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতনও বাড়ানো হবে। তাদের বেতন সংক্রান্ত একটি মামলা আদালতে চলমান। সেটি নিষ্পত্তি হলেই তাদের বেতনও বাড়বে।

তবে বেতন বাড়ানোর এই পদক্ষেপে খুব বেশি সন্তুষ্ট হতে পারেননি শিক্ষকরা। কারণ, তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী বাড়েনি বেতন। এ নিয়ে শিক্ষকদের মাঝে হতাশাও রয়েছে। সহকারী শিক্ষকরা চেয়েছিলেন তাদের বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে (১২ হাজার ৫০০ টাকা) উন্নীত করা হোক। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় এ প্রস্তাবে সায় দেয়নি।

এদিকে বেতন স্কেল উন্নীতকরণের দাবিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। গত নভেম্বরে তারা বেতন বাড়ানোর দাবিতে ২০১৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) বর্জনেরও ডাক দিয়েছিলেন। তবে সরকারের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তারা সে কর্মসূচি স্থগিত করেন। অবশেষে গতকাল রবিবার তাদের বেতন বাড়ানোর এই আদেশ জারি হলো।

বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনরত দেশের ১৪টি প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদে’র সদস্য-সচিব ও সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মাসুদ বলেন, ‘‘আমরা এতে সন্তুষ্ট নই। খুব শিগগিরই আমরা সব সংগঠন মিলে বসে আলাপ-আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবো।’’

তিনি বলেন, পদ অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকদের নিচের ধাপে সহকারী শিক্ষকদের অবস্থান। অথচ, এতদিন প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে, সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১৪তম গ্রেডে রাখা হয়েছে। এটি বৈষম্য। তাই আমাদের দাবি প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০তম গ্রেডে নিয়ে আমাদের বেতন গ্রেড ১১তম ধাপে নির্ধারণ করা হোক।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের সর্বশেষ বেতন বাড়ানো হয়েছিল ২০১২ সালের ৯ মার্চ। তখন সহকারী শিক্ষকদের বেতন এক ধাপ বাড়িয়ে ১৫তম থেকে ১৪তম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছিল।