০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:০২

৭০৫ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৬ প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য

  © ফাইল ফটো

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক নেই। এসব বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকরা দায়িত্ব পালন করছেন। এ কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রশাসনিক কার্যক্রম ও পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। সমস্যার কথা স্বীকারও করেছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন, দীর্ঘদিন জেলার বেশ কিছু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান ও সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রশাসনিক কাজে সমস্যা হচ্ছে। অন্যদিকে শিশু শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাও বিঘ্নিত হচ্ছে। বিশেষ করে চরাঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় এ সংকট আরও বেশি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় মোট ৭০৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এর মধ্যে ৪৬টির প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। এসব বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। আরও ৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষকের পদ নিয়ে জটিলতা রয়েছে। এছাড়া জেলায় ৩১৯টি সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য।

সূত্রটি আরও জানায়, রিট মামলাজনিত কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় ১০০, শিবগঞ্জ উপজেলায় ১৩৩, গোমস্তাপুর উপজেলায় ৩৪, নাচোল উপজেলায় ৩৬, ভোলাহাট উপজেলায় ১৬ সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।

সদর উপজেলার শাজাহানপুর ইউনিয়নের চর কাঁচিচর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৬৬২। এ বিদ্যালয়ে অনুমোদিত সহকারী শিক্ষকের পদ ১০টি। কিন্তু এখানে কর্মরত আছেন তিনজন। সাত শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে এখানে। একই অবস্থা জহুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অনুমোদিত আটজনের জায়গায় কর্মরত আছেন তিনজন।

চরআলাতুলি কোদালকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নয়জনের মধ্যে আছেন চারজন। এছাড়া চরআলাতুলি কোদালকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নামোসূর্যনারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরবাগডাঙ্গা-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেখালিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ে রয়েছে শিক্ষক সংকট।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের চর কাঁচিচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ৬৯২ শিক্ষার্থীর বিপরীতে আছেন মাত্র তিন শিক্ষক। এ সংকটের মধ্যদিয়ে বিদ্যালয় সামাল দেওয়া কঠিন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় প্রশাসনিক কাজে সমস্যার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বিঘ্নিত হচ্ছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত অবহিত করা হচ্ছে।