বিদ্যালয় মাঠে বিদ্যুতের খুঁটি, ঝুঁকি নিয়ে খেলাধুলা
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার অবস্থিত চুনতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির পাশেই ছোট পরিসরে মাঠ। সেই মাঠের পাশে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি ও মাঠের ওপর দিয়ে চলে গেছে ৩৩ হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। এর মধ্যেই শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে নিয়মিত খেলাধুলা ও অ্যাসেম্বলি করছে।
তাছাড়া বিদ্যালয়ের আধাপাকা টিনশেডের ভবনের ওপর দিয়েও গেছে বৈদ্যুতিক তার। ফলে ভবিষ্যতে ভবনটি দ্বিতীয় তলা নির্মাণ করতেও ঝামেলায় পড়তে হবে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিদ্যুতের সেই খুঁটিটি সরানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার চুনতি বাজারের উত্তর পাশে অবস্থিত বিদ্যালয়টিতে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা প্রায় চারশো। বিপরীতে সে অনুযায়ী নেই খেলার মাঠ। তবে বিদ্যালয়টির পূর্ব পাশে ছোট পরিসরে যেই মাঠটি রয়েছে শিক্ষার্থী অনুসারে সেটিও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তারপরও যেটুকু জায়গায় রয়েছে টিফিনের ছুটিতে খেলা ও অ্যাসেম্বলি করেন শিক্ষার্থীরা। আবার এই ছোট্ট মাঠের পাশে বিদ্যালয়ের কোল ঘেঁষে রয়েছে বিপদজনক একটি বিদ্যুতের খুঁটি। এছাড়াও বিদ্যালয়টির আধাপাকা টিনশেডের ভবনের ওপর দিয়েও বয়ে গেছে বৈদ্যুতিক তার। যেটিতে ৩৩ হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুৎ লাইন পরিবাহিত হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, ওই খুঁটি দিয়ে ৩৩ হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুৎ লাইন পরিবাহিত হচ্ছে। বিপজ্জনক অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকা বিদ্যুতের খুঁটি একটু ভারি বাতাস হলেই ঘটতে পারে বড় ধরণের কোন দুর্ঘটনা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছিমা আক্তার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিদ্যালয়েরে মাঠে ৩৩ হাজার ভোল্টেজের যে বিদ্যুতের খুঁটি রয়েছে সেটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত সেখানে খেলাধুলা করেন যেটি আমাদের জন্য রীতিমত আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে খুঁটিটি সরানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মামুনুল হক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, একদিকে মাঠে বিদ্যুতের খুঁটি আর অপরদিকে বিদ্যালয়ের টিনের চালের উপর দিয়ে বয়ে গেছে বৈদ্যুতিক তার। ফলে ভবিষ্যতে বিদ্যালয়টি দ্বিতীয় তলা করতেও ঝামেলায় পড়তে হবে।
এ প্রসঙ্গে লোহাগাড়ার বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ ছারওয়ার জাহান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সরেজমিন গিয়ে দেখে ঝুঁকিপূর্ণ হলে আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।