অল্পের জন্য রেকর্ড হাতছাড়া বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের
এবার অল্পের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) শতভাগ জিপিএ-৫ প্রাপ্তির রেকর্ড ছুঁতে পারলো না বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার পিইসি পরীক্ষায় ২৪৪ জনের মধ্যে একজন ছাড়া ২৪৩ জনই জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন বলেন, মাত্র একজনের জন্য এবার শতভাগ জিপিএ-৫ অর্জনের রেকর্ডটি গড়তে পারেনি। তবে আগামীতে যাতে রেকর্ড তারা ছুঁতে পারেন সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি। রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘এবার শতভাগ জিপিএ-৫ এর আশা করেছিলাম। আগামীতে অবশ্যই তা অর্জনের চেষ্টা করে যাব।’
জিলা স্কুলেরও একই অবস্থা। এ স্কুল থেকে ২৩৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে দু’জন ছাড়া সবাই জিপিএ-৫ পায়। তবে জেএসসির মত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাতেও (পিইসি) জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজ জেলায় শীর্ষস্থান দখল করেছে।
ওই স্কুল থেকে এবার পিইসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৩৯৭ জনের মধ্যে ৩৭৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে পিইসি পরীক্ষায় ৩৫১জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। পরীক্ষায় অংশ নেয় ৩৮২ জন।
আর্মড পুলিশ স্কুল ও কলেজ থেকে ২৭৭ জনের মধ্যে ২৫৫ জন, পুলিশ লাইন্স স্কুল ও কলেজ থেকে ২৬৬ জনের মধ্যে ২০৯ জন, করতোয়া মাল্টিমিডিয়া স্কুল ও কলেজের ১৬৩ জনের মধ্যে ১৩২ জন এবং এসওএস হারম্যান মেইনার স্কুল ও কলেজ থেকে ৫৭ জনের মধ্যে ৩৬ জন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।
জেরার মোট ৫০ হাজার ৯৪১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪৮ হাজার ১৬৬ জন পাস করেছে। মেয়েদের পাসের হার ৯৪ দশমিক ১১ শতাংশ। ছেলেদের পাসের হার ৯৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পাওয়া ১০ হাজার ৩১৮ জনের মধ্যে পাঁচ হাজার ৫৯৭ জনই মেয়ে। বাকি চার হাজার ৭২১জন ছেলে।
উপজেলাওয়ারী হিসাবে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সদর উপজেলার শিক্ষার্থীরা এগিয়ে রয়েছে। তবে পাসের হারে শীর্ষে শিবগঞ্জ উপজেলা।