শিক্ষিকার মাথার চুল কেটে শারীরিক নির্যাতন
মাথার চুল কেটে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকাকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুরের নকলা পৌরসভায়। ওই শিক্ষিকার নাম শাহনাজ পারভীন (৩৭)। তিনি পৌরসভার চরকৈয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
এ ঘটনায় শনিবার ওই শিক্ষিকার স্বামী হাবিবুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক হাবিবুর উপজেলার বানেশ্বর্দী ইউনিয়নের কবুতরমারি গ্রামের মৃত অজিত মাস্টারের ছেলে।
স্কুলশিক্ষিকা শাহনাজ পারভীন শনিবার বিকালে সাংবাদিকদের জানান, প্রায় ৪ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই টাকার জন্য তার স্বামী তার ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন। এমনকি কিছুদিন স্কুলের বেতনের সব টাকা তার স্বামীকে দেয়ার জন্য বাধ্য করেন। এভাবে চললেও গত ২৮ নভেম্বর ওই শিক্ষিকা স্কুল শেষে বাড়ি ফিরলে তার স্বামী টাকার জন্য তার ওপর চাপ প্রয়োগ করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে একপর্যায়ে তাকে পায়ের জুতা ও লাঠি দিয়ে শারীরিক নির্যাতন চালান। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
শাহনাজ পারভীন আরও জানান, বৃহস্পতিবার স্কুল শেষে বাসায় প্রবেশ করার সময় তার কাছে টাকা চাইলে- টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে মাথার চুল কেটে পায়ের জুতা ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়। আহত অবস্থায় তিনদিন ধরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, আমরা এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি এবং দ্রুত অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেফতার করেছি।