২৭ নভেম্বর ২০১৯, ২১:৩৮

৮ হাজারে ঘড়ি কিনলেন প্রধান শিক্ষক, দেখতে ভিড় স্থানীয়দের!

  © টিডিসি ফটো

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য কেনা একটি সাধারণ দেয়ালঘড়ির মূল্য ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৫০০ টাকা। নিম্নমানের কাঠে তৈরি টেবিল ৮ হাজার এবং চেয়ারের মূল্য ৬ হাজার টাকা।

এমন অসংলগ্ন বিল দেখে চক্ষু চড়কগাছ খোদ বিদ্যালয়টির শিক্ষকদের। আর ঘটনা জানাজানি হলে হৈ-চৈ শুরু হয় উপজেলাজুড়ে।

সম্প্রতি কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার দক্ষিণ রাধাবল্লভ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে।

সরেজমিন উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে আসবাবপত্র কেনায় দুর্নীতির বিষয়টি ফাঁস হয়।

অসংলগ্নতার অভিযোগ ওঠা বিল নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, স্কুলের উন্নয়নের বরাদ্দ থেকে তিনি আসবাবপত্রসহ ১ লাখ টাকার মালামাল ক্রয় করেছেন। এর মধ্যে জিপিআরএস মেশিন ক্রয় বাবদ ১২ হাজার টাকা, মা সমাবেশ বাবদ ৩ হাজার টাকা, ক্যাপ ৮ হাজার টাকা, বায়োমেট্রিক মেশিন রাখার জন্য কেস ১ হাজার টাকা, বায়োমেট্রিক হাজিরা ডিভাইস ক্রয় বাবদ ১৫ হাজার টাকার ভাউচার দেখান। তবে তিনি হাজিরা ডিভাইসটি দেখাতে ব্যর্থ হন।

এদিকে, ১ হাজার টাকা দেয়ালঘড়ির মূল্য সাড়ে ৮ হাজার টাকা ভাউচার করায় খোদ স্কুলের অন্য শিক্ষকগণ বিস্ময় প্রকাশ করেন। উৎসুক লোকজন ঘড়িটি দেখে জানান মূল্য সর্বোচ্চ এক হাজার থেকে বার শ’ টাকা হবে।

ঘড়ি কেনার ভাউচারেও গড়মিল দেখা গেছে। প্রথমে একটি টাকার পরিমাণ লেখার পর আবার সেটি কেটে দেয়া হয় এবং পরে আবারও সেটিকে কেটে টাকার পরিমাণের উপরে নতুন করে সংখ্যা বসানো হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হক অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি বিদ্যালয়ের রুটিন মেইনটেন্যান্স অর্থে এ সব উন্নয়ন কাজ করেছি।

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।