১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৩:০৪

এক জেলাতেই প্রাথমিকের ১০৬০ শিক্ষকের পদ শূন্য

  © ফাইল ফটো

গাইবান্ধার সাত উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক হাজার ৬০টি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। ফলে জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

জানা গেছে, এরমধ্যে প্রধান শিক্ষকের পদই ১১৯টি। এছাড়া সহকারী শিক্ষকের ৯৪১টি পদ শূন্য রয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, সাত উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংখ্যা এক হাজার ৪৬৪টি ও ছাত্রছাত্রী সংখ্যা পাঁচ লক্ষাধিক। ১১৯টি বিদ্যালয়ে কোন প্রধান শিক্ষক নেই।

এরমধ্যে সদর উপজেলায় চার জন, পলাশবাড়ীতে ১৬ জন, ফুলছড়িতে ২২ জন, সুন্দরগঞ্জে ৪১ জন, সাঘাটায় ২০ জন, গোবিন্দগঞ্জে ১৫ জন ও সাদুল্লাপুরে একজন প্রধান শিক্ষক নেই।

অপরদিকে জেলায় ৯৪১টি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এরমধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ১৬৮ জন, গোবিন্দগঞ্জ ১৫০ জন, পলাশবাড়ী ২০০ জন, ফুলছড়ি ১৫১ জন, সাদুল্লাপুরে ১১৫ জন, সাঘাটায় ৮৪ জন এবং সুন্দরগঞ্জ ৭৩ জন। ফলে ঐসব বিদ্যালয়ে মারাত্মকভাবে পাঠদান ব্যবহূত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে সেখানকার কুপতলা গ্রামের অভিভাবক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী বেশি। ফলে বিদ্যালয়ে পাঁচ জন শিক্ষক থাকলেও শিক্ষার্থীদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়।’ যেসব বিদ্যালয়ে দুই-তিন জন শিক্ষক আছেন, সেসব বিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী বলেন, ‘শিক্ষকরা অবসরে যাওয়ার কারণে পদ শূন্য হচ্ছে। তবে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সম্প্র্রতি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এর কার্যক্রম সম্পন্ন হলে কিছু শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণ করা যাবে।’