প্রাথমিকের খাতা মূল্যায়নে আসছে নতুন পদ্ধতি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০১৯, ০২:৪৪ PM , আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০১৯, ০২:৪৭ PM
পরীক্ষায় দুর্নীতিরোধে এবার নতুন পদ্ধতি হাতে নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবার থেকে পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষার খাতা আর পরীক্ষার্থীদের নিজ উপজেলায় মূল্যায়ন করা হবে না। এক উপজেলার খাতা অন্য উপজেলায় মূল্যায়ন করতে পাঠানো হবে। চলতি বছর থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে, প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের এক সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়।
সূত্র জানায়, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি পরীক্ষার খাতা একই উপজেলায় মূল্যায়নের বিষয়ে নানা অভিযোগ ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আগামী ১৭ নভেম্বর পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী ও ইবতেদায়ি পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষাসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গত ২৪ আগস্ট প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সভা করা হয়। সেখানে পরীক্ষার সময়সূচী তৈরি, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও বিতরণ, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষা, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, পরীক্ষার ফি নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় উপস্থিত কর্মকর্তারা বলেন, যে উপজেলায় পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করা হবে সে উপজেলায় নম্বরপত্র টেবুলেশন করে সিল-স্বাক্ষরসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলায় পাঠানো জরুরি। এতে কোনো অনিয়ম বা উত্তরপত্র মূল্যায়নে বিলম্ব হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে। যেসব বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে সেসব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেন্দ্র সচিব হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন। উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় বা অন্য কাউকে কেন্দ্র সচিব হিসেবে নিয়োগ প্রদান না করার জন্য প্রস্তাব করেন তারা।
তাদের এ প্রস্তাবের ভিত্তিতে এক উপজেলা বা থানার উত্তরপত্র পার্শ্ববর্তী উপজেলা বা থানার পরীক্ষক দ্বারা মূল্যায়ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মূল্যায়িত উত্তরপত্রের নম্বর মুদ্রণ করে টেবুলেশন শিট প্রস্তুত করে সিল-স্বাক্ষরসহ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জেলায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
উত্তরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। এ বিষয়ে কোনো অবহেলা, বিলম্ব বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অভিযুক্তদের নাম প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশও দেয়া হয়। এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয়েয়ে ডিপিই ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডকে।