২২ আগস্ট ২০১৯, ১৮:০০

প্রাথমিকে ৬১ হাজার ১৬৬ শিক্ষক নিয়োগ, প্রস্তাবনা জনপ্রশাসনে

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির প্রথম যৌথ বার্ষিক পর্যালোচনা সভা আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বাংলাদেশ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশাসনিক বিভাগের আলোচনায় জানা যায়, কর্মসূচির আওতায় চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরে ৬১ হাজার ১৬৬ জন শিক্ষকের পদ সৃজন করা হবে। এ সংক্রান্ত পরিকল্পনা ইতোমধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।

এছাড়া পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের আলোচনায় জানা যায় গত অর্থবছরে (২০১৮-১৯) দুর্যোগকালীন সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৫২৩টি বিদ্যালয়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া, চলতি অর্থবছরে তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ বিদ্যালয় পর্যায়ে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ সমূহে ২৬ হাজার আইসিটি প্যাকেজ বিতরণ করবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মেহেদী শাহনেওয়াজ জলিলের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ৪ আগস্ট শুরু হওয়া এই পর্যালোচনা সভায় কর্মসূচীতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা ৫টি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী - এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা), জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এবং বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। আজ বৃহস্পতিবার ছিল এর সমাপনী সভা। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ আকরাম-আল-হোসেন সমাপনী সভায় সভাপতিত্ব করেন।

আজকের সভা

যৌথ বার্ষিক পর্যালোচনা সভায় এই কর্মসূচিতে গত এক বছরে হাতে নেয়া বিভিন্ন কর্মকান্ড পর্যালোচনা করা হয়। এতে খাতওয়ারি পর্যালোচনা, ষান্মাসিক পর্যালোচনা, হিসাব নিরীক্ষণ পর্যালোচনা, পরিবেশ ও সামাজিক নিরাপত্তা বিধান এবং বার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং পর্যালোচনা করা হয়।

পর্যালোচনা সভায় চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির পাঁচটি বিষয় নিয়ে গ্রুপ ডিসকাশন হয়। এগুলো হচ্ছে: মান নিশ্চিতকরণ, ন্যায় সঙ্গত অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ, ব্যবস্থাপনা ও সুশাসন, অর্থ ও ক্রয় ব্যবস্থাপনা এবং সুষ্ঠু সমন্বয় ও অংশীদারিত্ব।

সমাপনী বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ আকরাম-আল-হোসেন মহোদয় বলেন, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি সকলের সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হবে। এ কর্মসূচির মূল লক্ষ্যই হলো প্রি-প্রাইমারি হতে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত সকল শিশুর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণ। আড়াই সপ্তাহ ব্যাপী অনুষ্ঠিত এই পর্যালোচনা সভায় অংশ নেবার জন্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর সকল প্রতিনিধিদেরও ধন্যবাদ জানান তিনি।

সভা শেষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ আকরাম-আল-হোসেন এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর পক্ষে আকিকো হানায়া আলোচনার প্রমাণপত্রে স্বাক্ষর করেন।

পাঁচ বছর মেয়াদী চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি সরকারের নেয়া প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সর্ববৃহৎ উদ্যোগ। ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে কর্মসূচিটি শুরু হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এই কর্মসূচিটি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের দ্বারা বাস্তবায়ন করছে।