শিক্ষিকা বরখাস্ত: আন্দোলনে যাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা
শিক্ষার্থীদের সাবলীলভাবে ইংরেজি পড়াতে না পারার অজুহাতে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ভালাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক নার্গিস সুলতানা ছবিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত বুধবার (৩১ জুলাই) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মো. আক্তারুজ্জামান তার এ বহিষ্কারাদেশ দেন। ওই শিক্ষিকার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের দাবি করে আন্দোলনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মাসুদ।
তিনি বলেন, নারগিস সুলতানা ছবির বরখাস্তের আদেশ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আমরা অবিলম্বে তার ভুল এ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার দাবি করছি। আর যদি আমাদের দাবি না মানা হয়, তাহলে অতিশীঘ্রই আমরা দেশব্যাপী সাধারণ শিক্ষকদের নিয়ে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে ভুল এ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করাতে বাধ্য করা হবে।
পাশাপাশি নারগিস সুলতানা ছবির বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রীটের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান শামসুদ্দিন মাসুদ।
এরআগে ৩০ জুলাই ভালাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে আসেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ মো. আক্তারুজ্জামান। এ সময় বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সাবলীলভাবে ইংরেজি পড়তে পারে না। তাই অফিসে ফিরে তিনি ৩১ জুলাই ওই স্কুলের ইংরেজির সহকারী শিক্ষক নার্গিস সুলতানা ছবিকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। বৃহস্পতিবার থেকে এই আদেশ কার্যকর হয়েছে। কিন্তু ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সেই চিঠিতেই রয়েছে ২২টি ভুল। এ নিয়ে ঝিনাইদহের শিক্ষক মহলসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সমালোচনার ঝড় উঠে।
তবে ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ মো. আক্তারুজ্জামান চিঠিতে ভুলের কথা স্বীকার করে বলেন, ব্যস্ততার কারণে আমি ভুলে ভরা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছিলাম। বৃহস্পতিবার সেটি সংশোধন করে স্মারক নম্বর ঠিক রেখে নির্ভুল চিঠি পাঠানো হয়েছে।