হাইকোর্টে যাচ্ছে প্রাথমিকের শিক্ষিকা বরখাস্ত ইস্যু
শিক্ষার্থীদের সাবলীলভাবে ইংরেজি পড়াতে না পারার অজুহাতে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ভালাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক নার্গিস সুলতানা ছবিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত বুধবার (৩১ জুলাই) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মো. আক্তারুজ্জামান তার এ বহিষ্কারাদেশ দেন। বরখাস্ত আদেশের চিঠিতে ২২ জায়গায় ভুল করেছেন তিনি। ছবির এ বরখাস্ত আদেশের বিরুদ্ধে স্বউদ্যোগে হাইকোর্টে রীটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন হাইকোর্টের আইনজীবী এডভোকেট সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ মো. আক্তারুজ্জামান ৩০ জুলাই ভালাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে আসেন। এ সময় বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সাবলীলভাবে ইংরেজি পড়তে পারে না।
তাই অফিসে ফিরে তিনি ৩১ জুলাই ওই স্কুল ইংরেজির সহকারী শিক্ষক নার্গিস সুলতানা ছবিকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। বৃহস্পতিবার থেকে এই আদেশ কার্যকর হয়েছে। কিন্তু ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সেই চিঠিতেই রয়েছে ২২টি ভুল। এ নিয়ে ঝিনাইদহের শিক্ষক মহলসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সমালোচনার ঝড় উঠে।
তবে ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ মো. আক্তারুজ্জামান চিঠিতে ভুলের কথা স্বীকার করে বলেন, ব্যস্ততার কারণে আমি ভুলে ভরা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছিলাম। বৃহস্পতিবার সেটি সংশোধন করে স্মারক নম্বর ঠিক রেখে নির্ভুল চিঠি পাঠানো হয়েছে।
হাইকোর্টে রীটের বিষয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মাসুদ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, ‘নারগিস সুলতানা ছবির বরখাস্তের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রীটে হচ্ছে। ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার ভালাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নারগিস সুলতানা ছবিকে ডিপিইও ঝিনাইদহ মহোদয় কর্তৃক অবৈধ বরখাস্তের আদেশের বিরুদ্ধে স্ব-উদ্যোগে হাইকোর্টে রীটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন হাইকোর্টের আইনজীবী এডভোকেট সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।’