২৮ জুন ২০১৯, ১৯:৩৯

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বিদ্যালয়ের পরীক্ষা গ্রহণে ভোগান্তি

প্রতীকী

বাগেরহাটের চিতলমারীতে বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অর্ধ-বার্ষিকী ও প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা চলাকালীন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে বোর্ড প্রশ্নে পরীক্ষা গ্রহণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সে কারণে বাধ্য হয়ে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বিকল্প ব্যবস্থায় পরীক্ষা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছেন। উপজেলা সদরে কিছুটা বিদ্যুৎ বিভ্রাট কম হলেও প্রচন্ড গরমে মফস্বল এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট বেড়েই চলেছে। ফলে বোর্ড কর্তৃক সরবরাহ করা প্রশ্নে পরীক্ষা গ্রহণের উদ্যোগটি ব্যহত হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৩১মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত অর্ধ-বার্ষিকী পরীক্ষা ও দশম শ্রেণীর প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা চলতি মাসের ২২ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে। এ সকল পরীক্ষায় গণিত, ইংরেজি, বিজ্ঞানসহ কয়েকটি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক সরবারহকৃত প্রশ্নে পরীক্ষা গ্রহণের কথা রয়েছে।

কিন্তু বিভিন্ন বিদ্যালয়ের কম্পিউটার সামগ্রীর সমস্যা ও পরীক্ষা চলাকালীন অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে প্রশ্নপত্র ডাউনলোড, ফটোকপি করার ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে নিজস্ব উপায়ে প্রশ্নপত্র প্রস্তুত করে পরীক্ষা গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছেন।

সম্মেলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নির্মল কুমার শিকদার জানান, প্রতি পরীক্ষার দিন সকাল ৮ টাকা সাড়ে ৯ টার মধ্যে প্রশ্ন ডাউনলোডের নির্দেশনা থাকলেও অধিকাংশ দিনে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে প্রশ্ন ডাউনলোডে সমস্যা দেখা দেয়। তাছাড়া দুই-একটি প্রতিষ্ঠানে ফটোকপি মেশিন থাকলেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানকে বাহির থেকে প্রশ্ন ফটোকপি করতে হয়। যে কারণে পরীক্ষা গ্রহণে বিভিন্ন ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

চিতলমারী মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অবনী মোহন বসু জানান, পরীক্ষা চলাকালীন বা পরীক্ষার পূর্বে বিদ্যুৎ বিভ্রাটসহ বিভিন্ন জটিলায় অনেক প্রতিষ্ঠান বাধ্য হয়ে বিকল্প প্রশ্নে পরীক্ষা গ্রহণ করছেন। এ ব্যাপারে একাধিকবার চিতলমারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএমর সাথে কথা বলা হলেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।

এ ব্যপারে চিতলমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোফিজুর রহমান জানান, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত প্রশ্নপত্র ডাউনলোডের বিভিন্ন সমস্যার কথা আমাকে অবহিত করেছেন। এছাড়াও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান স্কুল ম্যানেজিং কমিটির অনুমতিক্রমের বিকল্প প্রশ্নে পরীক্ষা গ্রহণ করছেন।

তবে বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি মো. আলমগির হোসেন জানান, চিতলমারীর বিভিন্ন এলাকায় শত ভাগ বিদ্যুতায়নের জন্য কাজ চলছে যে কারণে সাময়িক ভাবে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিচ্ছে। তাছাড়া পরীক্ষার বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস লিখিত ভাবে পল্লী বিদ্যুৎকে অবহিত করেননি। এখন থেকে পরীক্ষার সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট থাকবে না।