আগের নিয়মেই প্রাথমিক সমাপনী (প্রশ্নকাঠামো দেখুন)
২০১৭ সাল। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার প্রায় সব বিষয়ের প্রশ্ন পরীক্ষার আগের রাতে বা পরীক্ষার সকালে ফাঁস হয়ে যায়। অল্প সময়ের মধ্যে তা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জেএসসি-জেডিসি এবং এবারের এসএসসি পারীক্ষাতেও।
প্রশ্নফাঁস মহামারি আকার ধারণ করায় প্রশ্ন পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। পরীক্ষার ঘণ্টাখানেক আগে প্রশ্নফাঁস হলে সেখান থেকে সহজেই বহু নির্বাচনী অংশের উত্তর দেওয়ার সুযোগ থাকে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি প্রাথমিক স্তরের পরীক্ষায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) বাদ দেওয়ার সুপারিশ করে। এরপরই গত বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা- ২০১৮ এর নতুন প্রশ্ন কাঠামো ও নম্বর বিভাজন চূড়ান্ত করে তা প্রকাশ করে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এ বছরও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় সৃজনশীল বা যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নপত্র করা হবে। অর্থ্যাৎ গত বছরের প্রশ্ন কাঠামোতেই ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্ন করা হচ্ছে। এ বছর প্রশ্ন কাঠামোতে কোনো পরিবর্তন আনা হচ্ছে না। এমনটাই জানিয়েছেন জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নেপের মহাপরিচালক শাহ আলম গণমাধ্যমকে জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে এ বছরও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায়ও শতকরা ১০০ ভাগ কম্পিটেন্সি বেসড বা যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নপত্র করা হবে। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের প্রশ্ন কাঠামোতেই ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়টি জানিয়ে ইতোমধ্যেই সব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠিয়েছে নেপ। চিঠির সাথে গতবছরের প্রণয়ন করা সকল বিষয়ের প্রশ্ন কাঠামো জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে।
সূত্রের তথ্য, প্রাথমিক সমাপনীতে সৃজনশীল প্রশ্নের হার গত কয়েক বছর ধরেই ধাপে ধাপে বাড়ানো হচ্ছিল। ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতি বিষয়ে ৬৫ শতাংশ এবং ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে ৮০ শতাংশ প্রশ্ন ছিল যোগ্যতাভিত্তিক, বাকি প্রশ্ন ছিল সনাতন ধরনের। ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে সারা দেশে এক সঙ্গে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা শুরুর পর ২০১২ খ্রিস্টাব্দে প্রথমবারের মত ১০ শতাংশ সৃজনশীল প্রশ্ন সংযোজন করা হয়।
প্রশ্ন কাঠামো দেখতে ক্লিক করুন