প্রাথমিকের দু’ধাপের পরীক্ষা বাতিল চায় কোটা আন্দোলনকারীরা
- ইলিয়াস শান্ত
- প্রকাশ: ০১ জুন ২০১৯, ০৪:৩২ PM , আপডেট: ০৮ জুন ২০১৯, ০৭:৪৯ PM
সম্প্রতি অনুষ্ঠিতব্য প্রাথমিকের দুই ধাপের পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতির ও প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতেও বেশ আলোচনায় এসেছে বিষয়টি। এসবের ভিত্তিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষন পরিষদের পক্ষ থেকে অনিয়মে অভিযুক্ত দুই ধাপের পরীক্ষায় বাতিলে চেয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার দুপুরে সংগঠনটির আহবায়ক হাসান আল মামুন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রথম পর্যায়ে গত ২৪ মে ২০১৯ ইং তারিখে সরকারি প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়ােগের পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসের খবর ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে বিষয়টির সত্যতা বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমের খবরে নিশ্চিত হওয়া যায়।
অনুরূপভাবে গত শুক্রবার দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্ন ও প্রশ্নফাঁসের খবর সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যা তাৎক্ষনিকভাবে অনেক জাতীয় দৈনিক অনলাইন সংস্করণে আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় ফাঁস হওয়া প্রশ্নের পরীক্ষা বাতিল করা হবে
কি না বা পরবর্তী করণীয় কি হবে সে সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে দেখছিনা। ফাঁস হওয়া প্রশ্নের পরীক্ষাকে বৈধ হিসাবে মেনে নেওয়ার অর্থ নৈতিকতার চরম অবক্ষয় বলে মনে করে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা।
পরীক্ষার বিষয়ে সংগঠনটির অবস্থান তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এমন অবস্থাকে কখনােই সমর্থন করে না। ফাঁস হওয়া প্রশ্নের পরীক্ষা বাতিল না হওয়ায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ হতে তীব্র প্রতিবাদ নিন্দা জ্ঞাপন করছি। আমরা দৃঢ় ভাবে বলতে চাই, প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িত সকলকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা পুনরায় নিতে হবে।
চলমান প্রশ্নফাঁসসহ বিভিন্ন অনিয়ম বন্ধে যথাসময়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ছাত্রসমাজ ও চাকরীপ্রার্থীরা যৌথ প্রতিবাদের মাধ্যমে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।