প্রাথমিকে দ্বিতীয় ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা কাল, প্রশ্ন ফাঁস রোধে নতুন ৬ উদ্যোগ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস রোধে ছয়টি পদক্ষেপ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। শুক্রবার দেশের ২৬ জেলায় একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
দ্বিতীয় ধাপে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জেলাগুলো হচ্ছে- মুন্সীগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, নরসিংদী, জামালপুর, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, শেরপুর, রাজবাড়ী, লক্ষ্মীপুর, কক্সবাজার, চাঁদপুর, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, সিলেট, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা, নীলফামারী, নাটোর, লালমনিরহাট ও ঠাকুরগাঁও।
জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে প্রায় ছয় লাখ প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন। এর আগে গত ২৪ মে ১১ জেলায় প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে সাতক্ষীরা জেলায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটে।
প্রথম ধাপে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার পর দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় নতুন করে ছয়টি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- অভিন্ন প্রশ্নের বদলে একাধিক প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া, ২৬ জেলার কোনো কর্মকর্তাকে প্রশ্ন তৈরির কমিটিতে না রাখা, কান ঢেকে পরীক্ষার হলে ঢুকতে না দেয়া, ২৪ মে’র পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের গ্রেফতার ও ভবিষ্যতে গোয়েন্দা সংস্থাকে তৎপর রাখা, পরীক্ষা পর্যবেক্ষণে ঢাকা থেকে কর্মকর্তাদের পাঠানো, ডিসির উপস্থিতিতে বিশ্বস্ত কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে প্রশ্ন ছাপা।
এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম-আল- হোসেন বলেন, ‘সুরক্ষিত প্রশ্নে পরীক্ষা নিতে সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি যারা প্রশ্ন ফাঁস করেছে তাদের ধরতে চেষ্টা চলছে। প্রথম ধাপের পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হয় কেবল সাতক্ষীরায়। কিন্তু গ্রেফতারকৃতরা বলছেন, সেখানে প্রশ্ন গেছে ঢাকা থেকে। ফলে প্রশ্নফাঁসের সম্ভাব্য ঢাকার মূল হোতাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।’
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি), দুটি গোয়েন্দা সংস্থার মহাপরিচালক, র্যাব মহাপরিচালককে চিঠি দেয়া হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থা এ ব্যাপারে কাজ করছে বলে জানা গেছে।
এদিকে শুক্রবারের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানে সচিব আকরাম-আল-হোসেন নিজেই ২৬ জেলার ডিসির সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের সঙ্গেও তার একাধিক বৈঠক হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশ্ন ছাপার কাজে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যাপারে আরও সতর্কতাগ্রহণ, পরীক্ষার্থীদের ওপর নজরদারি বিশেষ করে কোচিং সেন্টারের ওপর নজরদারির ব্যবস্থাসহ আরও বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।