১৪ মার্চ ২০১৯, ০৯:২৬

দেশজুড়ে সহকারী শিক্ষকদের কর্মসূচি আজ

বেতন বৈষম্যের প্রতিবাদে গত কয়েকদিন ধরেই বিচ্ছ্ন্নভাবে আন্দোলন করে আসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহাকারী শিক্ষকদের একযোগে কর্মসূচি পালিত হবে আজ বৃহস্পতিবার। এদিন বিকাল ৩টায় দেশের সকল পিটিআই ও বিভিন্ন জেলার সাথে সমন্বয় রেখে মহানগর ও সদর উপজেলার সহকারী শিক্ষকবৃন্দ এবং পিটিআই’র প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ নিজ নিজ উপজেলার প্রতিনিধি হিসেবে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এবং ডিপিইও’র মাধ্যমে প্রতিমন্ত্রী, সচিব ও অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি দেবেন। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা। 

তারা বলছেন, বুধবার জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৯ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সারাদেশের শিক্ষকদের প্রত্যাশা ছিল, ওই দিনই তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য সুরাহার বিষয়ে কথা বলবেন। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। শুধু তাই নয়, এ বিষয়ে মূল বক্তৃতার বাইরেও কারো সাথে আলোচনা হয়নি বলে দাবি শিক্ষক নেতাদের একটি সূত্রের। মূলত এ কারণেই সহাকারী শিক্ষকরা আশাহত হয়েছেন। তাদের ভাষ্য, আন্দোলনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান শিক্ষকরা। এ কারণেই পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ মাঠে নামছেন। এর মাধ্যমে দাবি আদায় না হলে বিক্ষোভ সমাবেশ, অনশন কর্মসূচি কিংবা ঢাকায় মহাবেশ করার পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।

এর আগে শিক্ষকদের কেন্দ্রীয় সংগঠন বাপ্রাবিসশিস সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জনাব সাবেরা বেগমের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১১তম আমাদের প্রাণের দাবি। বেতন স্কেল এই ধাপে নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। কমর্সূচি হিসেবে ১৪ মার্চ, বিকেল ৩ টায় সকল জেলা, উপজেলায় মানবন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালিত হবে।

সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি অনুমোদিত সদ্য খসড়া বিধিমালায় প্রধান শিক্ষকদের জন্য দশম গ্রেড এবং সহকারী শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেড প্রদানের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে মাঠে নামেন শিক্ষকরা। যা প্রতিদিনই বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শহরে অব্যহত রয়েছে। মানববন্ধনের মাধ্যমে তারা বলছেন, গত পে-স্কেল থেকে সহকারী শিক্ষকরা চারটি গ্রেডের বেতন বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহকারী শিক্ষকদের ন্যায্যতার ভিত্তিতে বৈষম্য নিরসনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি।

তাদের ভাষ্য, প্রধান শিক্ষকের পরেই তাদের বেতন রাখার দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু তা না করেই হঠাৎ করেই এই খসড়া অনুমোদন দেয়ায় ফের বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তারা। শুধু তাই নয়, বিষয়টি আত্মসম্মানের বলেও দাবি তাদের।

আরো পড়ুন: প্রাথমিকের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে