প্রাথমিকের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে
আজ মঙ্গলবারও দেশের বিভিন্ন স্থানে বেতন বৈষম্য নিরসন ও প্রধান শিক্ষকের পরের গ্রেডের দাবিতে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকগণ মানববন্ধন করেছেন। তাদের দাবি, প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া আদায়ে সরকারের পক্ষ থেকে এর আগেও উড়ো আশ্বাস দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) জামালপুর শহরের পিটিআই ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর প্রশিক্ষণরত শিক্ষকদের আয়োজনে ইনস্টিটিউট এর সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ রাসেল শাহাদাত, খুরশিদা পারভীন, ইসরুল কায়ছারসহ আরো অনেকে।
এ সময় বক্তারা প্রাথমিক শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকদের পরে আর কোন সহকারী প্রধান শিক্ষক এর পদ না রেখে সরাসরি ১১তম গ্রেড প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমাদের দাবিটি মেনে নেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ জানাচ্ছি। যদি আমাদের দাবিটি মেনে নেয়া না হয় তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবো বলে ঘোষণা দেন।
একইভাবে মঙ্গলবার বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সামনে ঘন্টাব্যাপি এ মানববন্ধনের আয়োজন করে উপজেলা প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক সমিতি। এতে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, রামগতি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু ছায়েদ, সাধারণ সম্পাদক মমিন উল্যাহ, শিক্ষক এম শফিকুল আলম ও মাকছুদুর রহমান প্রমুখ। বক্তারা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অবিলম্বে সহকারী শিক্ষকদের বিদ্যমান বেতন বৈষম্য নিরসনসহ ১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান।
এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টি না করে একজন অফিস সহকারীর পদ সৃষ্টির জন্য দাবি জানানো হয় মানববন্ধনে।
সারাদেশের ন্যায় কুড়িগ্রামেও বেতন বৈষম্য নিরসন ও প্রধান শিক্ষকের পরের গ্রেডের দাবিতে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকগণ মানববন্ধন করেছেন। মঙ্গলবার সকালে কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে ঘণ্টা ব্যাপী মানববন্ধন করা হয়। পরে বিক্ষোভ মিছিলসহ জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকগণ।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- কুড়িগ্রাম সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, সহকারী শিক্ষক রুহুল আমিন কবির, এনামুল বসুনিয়া, রবিউল ইসলাম, নজরুল ইসলাম সুজন, সোহেল বকসী প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকগণের ১১তম গ্রেডে বেতন স্কেল অবিলম্বে নির্ধারণের দাবি জানান। দাবি পূরণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।