প্রাথমিকে ৯৩ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, প্রাথমিকে ৯৩ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে, থাকছে না কোনো পোষ্য কোটা। প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষক নিয়োগে প্রি-সার্ভিস প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
আজ রবিবার (৮ ডিসেম্বর) খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একার পক্ষে সম্ভব নয়, এ জন্য দরকার সমাজের সবার সামগ্রিক অংশগ্রহণ। এ লক্ষ্য অর্জনে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে প্রাথমিকের ভৌত অবকাঠামো সুন্দর। কিছু এলাকায় সমস্যা আছে। সেগুলো সুন্দর করা হচ্ছে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় দৃষ্টিনন্দন স্কুল নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের সবগুলো প্রাথমিক স্কুলে ‘মিড ডে মিল’ চালু করা হবে। এ-সংক্রান্ত প্রকল্পটি একনেকে পাশের অপেক্ষায় আছে। প্রথম পর্যায়ে ১৫০টি উপজেলার সব স্কুলে এই মিড ডে মিল চালু হবে। কক্সবাজার ও বান্দরবানসহ দেশের কিছু স্কুলে মিড ডে মিল চালু আছে।’
আরও পড়ুন: ৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু মঙ্গলবার, যেসব পরিবর্তন এলো
বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়ানোর লক্ষ্যে উপবৃত্তি চালু করা হয়েছে। এতে বিশাল ব্যয় হচ্ছে । কিন্তু এটি যে উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, সেখানে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জিত হচ্ছে না । উপবৃত্তির জন্য প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষার্থীদের নাম থাকে, কিন্তু তারা অন্য স্কুলে পড়াশোনা করে।
উপদেষ্টা পর একই স্থানে ‘মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময়’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: চবির সনদ সংগ্রহে ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলছে শিক্ষার্থীদের
বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত ডিআইজি জয়দেব চৌধুরী, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, খুলনা বিভাগীয় উপপরিচালক ড. মো. শফিকুল ইসলাম।
মতবিনিময় সভায় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বিভাগীয় ও জেলা শিক্ষা অফিসার, পিটিআইয়ের সুপারিনটেনডেন্ট, থানা শিক্ষা অফিসারসহ প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা সরাসরি ও অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন।