প্রাথমিকের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ স্থগিতাদেশ হাইকোর্টে
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগপত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে তাদের নিয়োগ দেওয়ার কারণে আদালত এই আদেশ প্রদান করেছে। আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
যদিও আগামীকাল বুধবার (২০ নভেম্বর) থেকে এই সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষককে নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা ছিল। তবে হাইকোর্টের আদেশের পর তা এখন স্থগিত হয়ে গেল।
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলার ফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। ২০২৩ সালের ১৪ জুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর, গত ২৯ মার্চ এই দুই বিভাগের লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সংশোধিত ফল ২২ এপ্রিল প্রকাশ করা হয়।
এর আগে, ২৮ মে হাইকোর্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন। তবে, মৌখিক পরীক্ষার স্থগিতাদেশ আপিল বিভাগ খারিজ করলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে।
এই নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর, আদালত বিষয়টি তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে, তদন্ত কমিটি প্রশ্নফাঁসের কোনো প্রমাণ পায়নি বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।