প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ নিয়ে দুই জটিলতা
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ নিয়ে দুই ধরনের জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে। মতামত পাওয়ার পর এ ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে।
সম্প্রতি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
প্রাথমিকের সচিব বলেন, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করেছি। তদন্ত কমিটিতে সিআইডি, ডিবির প্রতিনিধিরা ছিলেন। তবে তারা প্রশ্নফাঁসের কোনো প্রমাণ পাননি। আমরা বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছি। তবে এখনো কোনো মতামত পাওয়া যায়নি। এটি না পাওয়া পর্যন্ত ফল প্রকাশ করা যাবে না।
ফরিদ আহাম্মদ বলেন, দ্বিতীয়ত তৃতীয় ধাপের ফল আমাদের বিধিমালা অনুযায়ী প্রকাশ করা হবে নাকি কোটার নতুন প্রজ্ঞাপন অনুসরণ করা হবে সে বিষয়েও মতামত চাওয়া হয়েছে। এ মতামত না পাওয়া পর্যন্ত তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে না।
জানা গেছে, তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১টি জেলার পরীক্ষা হয়েছে। লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল গত ২২ এপ্রিল প্রকাশিত হয়। এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হন। আর এই পরীক্ষা ২৯ মার্চ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
২০২৩ সালের ১৪ জুন এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত ২৯ মার্চ এই দুই বিভাগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষার ফল গত ২১ এপ্রিল প্রকাশ করা হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের (৩টি পার্বত্য জেলা ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল পরের দিন প্রকাশ করা হয়।