প্রোগ্রামিং ভাষায় দক্ষ করতে প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রোগ্রামিং শিক্ষাকার্যক্রমের সহায়ক হিসেবে তৈরি এবং প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের শিক্ষকদেরকে স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং এ আরো বেশি দক্ষ করার উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষণ কর্মশালা হয়েছে। গত শুক্র ও শনিবার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ১১৩ জন শিক্ষককে অনুষ্ঠিত হয়েছে স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং ভাষার ওপর দু’দিনব্যাপী এ কর্মশালা। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ ও স্ক্র্যাচ বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে প্রথম পর্বের সহযোগিতায় ছিল সিএসএল টেকনোলজিস লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)।
এ কর্মশালার প্রথম পর্বের সমাপনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সদরের ইউএনও মহসিন উদ্দীন বলেন, ‘বর্তমানে ইন্টারনেটের এ যুগে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর সময় নষ্টকারী কন্টেন্ট এর আধিক্য দেখা যাচ্ছে। এর মাধ্যমে আমাদের বাচ্চা-কাচ্চাদের মেধা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা বিনষ্ট হচ্ছে। স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং সম্পর্কিত ইউটিউব কন্টেন্টগুলো দেখার পাশাপাশি নিয়মিত প্রাকটিসের মাধ্যমে আমাদের সন্তানরা এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার পরিমল চন্দ্র বালা, সহকারী শিক্ষা অফিসারসহ আয়োজক হিসেবে সদর উপজেলার পক্ষ থেকে গোবরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম চৌধুরী টুটুল উপস্থিত ছিলেন।
এ কর্মশালায় ব্লকভিত্তিক প্রোগ্রামিং ভাষা স্ক্র্যাচ দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাগণকে প্রোগ্রামিং ও গণিতের ধারণা দিয়ে বিভিন্ন যুক্তি ব্যবহার করে গেম এবং এনিমেশন তৈরি করার বিষয়গুলো হাতেকলমে দেখানো হয়। শিক্ষকরা এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করা নিয়ে তাদের উচ্ছাস প্রকাশ করেন।
নিলখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাফিজা খানম বলেন, ‘স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে বাচ্চারা যুক্তিভিত্তিক সমস্যা সমাধানে আগহী হবে এবং এটি তাঁদের মোবাইল আসক্তি দূর করে গঠনমুলক কর্মকান্ডে উৎসাহিত করবে।
এমন প্রশিক্ষণ কর্মশালার নিয়মিত আয়োজন দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রোগ্রামিং শিক্ষাকার্যক্রমে সহায়ক হওয়ার পাশাপাশি দেশের সব স্তরের প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রোগ্রামিং ভীতি দূর করে জটিল সমস্যা সমাধানে আগ্রহী করে তুলবে বলে বিশ্বাস করেন বিডিওএসএন’র সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান।
আরো পড়ুন: একাদশে ভর্তির দ্বিতীয় ধাপের নিশ্চায়ন শেষ হচ্ছে আজ
উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ২২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য আয়োজিত এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রথম পর্বে ১১৩ জন শিক্ষককে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা। প্রথম পর্বে প্রত্যেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে একজন করে আইসিটি শিক্ষক এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তী ধাপে বাকি ১১৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে কর্মশালার দ্বিতীয় পর্ব আয়োজন করা হবে।
উভয়দিনই সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালা শেষে শিক্ষকরা নিজ নিজ বিদ্যালয়ে ফিরে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ব্লকভিত্তিক প্রোগ্রামিং ভাষা সম্পর্কে ধারণা দেবেন।