তৃতীয় ধাপের ভাইভা স্থগিত নিয়ে যা জানালেন প্রাথমিকের সচিব

ফরিদ আহাম্মদ ও প্রাথমিকের লোগো
ফরিদ আহাম্মদ ও প্রাথমিকের লোগো  © ফাইল ছবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। তবে রায়ের কপি না পাওয়ায় এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ অবস্থায় ভাইভা চলমান থাকবে না কি স্থগিত হবে সে বিষয়ে ধোয়াশা তৈরি হয়েছে।

গত মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিতের এ আদেশ দেন। আদালতের রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। আর এই ফাঁস হওয়া প্রশ্নে অনেকে পরীক্ষা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফলও প্রকাশিত হয়েছে। এ কারণে প্রকাশিত ফল নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার ঘটনার তদন্ত ও পরীক্ষা প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ঢাকা ও চট্রগ্রামের কয়েকজন পরীক্ষার্থী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব  ফরিদ আহাম্মদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমরা এখনো আদালতের রায়ের কপি পাইনি। রায়ের কপি পাওয়ার পর সেখানে বিজ্ঞ বিচারকরা কী লিখেছেন তা দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আদালতের রায়ে যদি পরীক্ষা স্থগিতের কথা বলা হয়, তাহলে পরীক্ষা স্থগিত থাকবে।

আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপনারা আপিল করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা আগে রায়ের কপি দেখবো। এরপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’

গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের ক্লাস্টারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অধিদপ্তর। এরপর ২২ মার্চ ২য় ধাপে রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে ১৭ জুন ৩য় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

প্রথম ধাপে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০, দ্বিতীয় ধাপে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৪৩৮ এবং তৃতীয় ধাপে ৩ লাখ ৪০ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন। বর্তমানে প্রায় ৮ হাজারের বেশি পদ শূন্য রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ