প্রাথমিকে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েও চাকরি বঞ্চিতদের সুখবর দিল অধিদপ্তর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:১৩ PM , আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:১৮ PM
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েও যারা নিয়োগ পাবেন না তাদের অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখা হবে। পরবর্তীতে শূন্য পদের তথ্য পাওয়া সাপেক্ষে এই তালিকা থেকে নিয়োগ দেবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
জানা গেছে, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে প্রায় ১০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এই পদের বিপরীতে ১:৪ ফরম্যাটে প্রার্থীদের উত্তীর্ণ করানো হতে পারে। অর্থাৎ প্রতি পদের বিপরীতে চারজন করে প্রার্থীকে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ করানো হতে পারে। যাদের অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখা হবে পরবর্তীতে কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে মেধাতালিকা এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী তাদের নিয়োগের সুপারিশ করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রাথমিকের চলমান নিয়োগ পরীক্ষায় যারা চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হবেন তাদের মধ্য থেকে পরবর্তীতে শূন্যপদ পাওয়া সাপেক্ষে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। আমরা একবছরের জন্য অপেক্ষমাণ তালিকা রেখে দেব। এই সময়ের মধ্যে কোনো বিজ্ঞপ্তি আসলে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নিয়োগ সুপারিশ করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রায় ১০ হাজার পদ শূন্য রয়েছে। এই পদগুলোতে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে না। তবে কেউ নিয়োগ পাওয়ার পর যোগদান না করলে ওই পদে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।
অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হবে জানিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উচ্চপর্যায়ের এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা মানে চাকরি নিশ্চিত নয়। অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নিয়োগের ক্ষেত্রে পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর, মেধাতালিকাসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে জোর দেওয়া হবে। বিষয়গুলো সভা করে চূড়ান্ত করা হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
জানা গেছে, প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে এবারই প্রথম আবেদন ও নিয়োগ পরীক্ষা ধাপে ধাপে নেওয়া হচ্ছে। গুচ্ছভিত্তিক এ নিয়োগে তিন ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষাও আলাদাভাবে নেওয়া হচ্ছে।
প্রথম ধাপে বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগে গত ৮ ডিসেম্বর তিন বিভাগের ১৮ জেলার এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৩৩৭ জন। এসব প্রার্থী পরে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন।
সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় ধাপে খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে লিখিত পরীক্ষা ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। ৩ বিভাগের ১৮ জেলায় সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার এই এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় ধাপের এমসিকিউ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।