প্রাথমিকের চতুর্থ ধাপের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে যা জানা গেল
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:৪৩ PM , আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:০৮ PM
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হলেও সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করা হলেও চতুর্থ ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে না।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যতগুলো শূন্য পদ রয়েছে তা চলমান তিন ধাপের নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। এক্ষেত্রে তিন ধাপে যত পদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তার চেয়েও বেশি প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হবে। সেজন্য পদের অতিরিক্ত প্রার্থীকে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ করা হতে পারে।
ওই সূত্র আরও জানায়, একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে অনেক প্রার্থী আবেদন করেন। এতে তাদের আর্থিক ক্ষতিসহ নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সেজন্য চতুর্থ ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে না। নতুন করে শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করা হলেও চলমান নিয়োগ থেকেই এই পদগুলো পূরণ করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, চতুর্থ ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হচ্ছে না। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যতগুলো শূন্যপদ পাওয়া যাবে সবগুলোই চলমান নিয়োগ থেকে পূরণ করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এসব বিভাগে আবেদনের শেষ সময় ছিল গত ২৪ মার্চ। দ্বিতীয় ধাপে ২৩ মার্চ ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। আর তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য গত ১৮ জুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
তিন ধাপে সহকারী শিক্ষক পদে আবেদন করেছেন ১১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৩১ জন। এর মধ্যে প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০ জন চাকরিপ্রার্থী। ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৮ এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৪৩৮ জন।
এই নিয়োগের অনুমোদিত শূন্য পদের মধ্যে বেশির ঢাকা বিভাগে— ১ হাজার ৩৬৫ এবং সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে—৪১১টি। এ ছাড়া বরিশালে ৮৭১টি, রংপুরে ৯৮৮, খুলনায় ৯৪০, ময়মনসিংহে ৫৯৯, রাজশাহীতে ১ হাজার ৫৮টি এবং চট্টগ্রামে ১ হাজার ২৩১টি শূন্য পদ রয়েছে।