সময়সূচি পরিবর্তনে প্রাথমিকে শিক্ষার্থী উপস্থিতি বেড়েছে

সময়সূচি পরিবর্তনে প্রাথমিকে শিক্ষার্থী উপস্থিতি বেড়েছে
সময়সূচি পরিবর্তনে প্রাথমিকে শিক্ষার্থী উপস্থিতি বেড়েছে  © ফাইল ছবি

নেত্রকোনায় চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান সময়সূচি এক ঘণ্টা পেছানোর পর শিক্ষার্থীর উপস্থিতি বেড়েছে বলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানিয়েছে। নতুন এ সূচিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত নতুন এ সূচিতে চলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান।

জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এমদাদুল হক জানান, মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় স্কুল শুরুর পর জেলার ১ হাজার ৩১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা গত কয়েকদিনের তুলনায় বেড়েছে।

এর আগে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয় সোমবার এক আদেশে জানিয়েছে, মধ্য জানুয়ারি থেকে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে শীতের প্রকোপ বাড়ায় আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান সময়সূচি এক ঘণ্টা পিছিয়ে সকাল ১০টায় শুরু হবে।

জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এমদাদুল বলেন, গত কয়েকদিন ধরে জেলায় তাপমাত্রা ১১-১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। তীব্র শীতের কারণে স্কুলগুলোতে ক্রমান্বয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছিল।

তিনি বলেন, সকালে জেলার বিভিন্ন প্রাথমিক স্কুলগুলোতে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, ১০টায় স্কুল শুরুর কারণে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি বেড়েছে। এটা শুভকর।

নেত্রকোণা শহরের জাহানারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৪৬ জন। সোমবার বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিল ১৪৮ জন। মঙ্গলবার উপস্থিতি বেড়ে ২০২ জন হয়েছে বলে প্রধান শিক্ষক শাহনাজ পারভীন জানান।

পারভীন বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই শীতের তীব্রতার কারণে ক্লাসে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমে আসছিল। আজ ১০টায় ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি সংখ্যা বেড়েছে।

এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাবাসসুমের মা আইরীন আক্তার বলেন, গত দুইদিন সকালে ভীষণ কুয়াশা ছিল। তাই অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ভয়ে মেয়েকে স্কুলে যেতে দিইনি। আজও কুয়াশা ছিল তবে, সকাল ৯টার বদলে ১০টায় ক্লাস শুরু করায় মেয়েকে স্কুলে নিয়ে এসেছি।

ওই স্কুলের আয়েন উদ্দিন নামে আরেক অভিভাবক বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত ভালো হয়েছে। এত সকালে ছেলেকে ঠান্ডার মধ্যে স্কুলে পাঠাতে ভয়ে থাকতাম। সকাল ১০টায় শীতের তীব্রতাও অনেকটাই কমে আসে।

সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জাহানারা বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শাহজাহান মিয়া। তিনি বলেন, সকালে আমি নিজে গিয়ে দেখেছি। অন্য দিনের তুলনায় ছাত্র-ছাত্রী বেশি এসেছে।

জেলার কেন্দুয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, সকাল ১০টায় ক্লাস শুরু হওয়ায় তার স্কুলের শিক্ষার্থী আসার সংখ্যা গত দুইদিনের তুলনায় বেড়েছে। কলমাকান্দার হুগলী-কনুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও শিক্ষার্থী বেড়েছে বলে প্রধান শিক্ষক টিটু তালুদকদার জানিয়েছেন।


সর্বশেষ সংবাদ