৩ লাখ প্রাথমিক শিক্ষককে বিভাগীয় পদে আবেদনে শর্ত নিয়ে রুল
বিভাগীয় পদে আবেদন করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ বছরের অভিজ্ঞতা সংক্রান্ত বিধান কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন লাখ ১৬ হাজার শিক্ষকের পক্ষে ২০ জনে করা রিটের শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হাইদার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
রুলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৩-এ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদন করতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতার শর্ত নির্ধারণ কেন অবৈধ হবে না এবং দুই বছরের অভিজ্ঞতা ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে বয়সসীমা শিথিল করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে বিভিন্ন পদে আবেদনকারী এবং অন্যান্য শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদন করার সুযোগ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিব, পিএসসির চেয়ারম্যান ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ছয়জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে ৬০ দিনের মধ্যে ইতোপূর্বে আবেদনকারীদের দাখিল করা দরখাস্ত নিষ্পত্তি করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
পরে মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, সম্প্রতি সরকার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৩ প্রণয়ন করে, যেখানে প্রয়োজনীয় সব যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদনের সুযোগ রাখা হয়নি এবং সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার পদের জন্য আবেদনের সুযোগ রাখা হলেও সেখানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতার শর্ত দেওয়া হয়েছে। যেখানে আগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যেকোনো শিক্ষক দুই বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলে সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার পদের জন্য আবেদন করতে পারতেন। রিটকারী শিক্ষকরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আবেদন দাখিল করলেও বিবাদীরা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় রিট করা হয়।